Main Menu

চীনে উইঘুর মুসলিমদের নিপীড়নের প্রমাণ মিলেছে: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনে উইঘুর মুসলিমদের নিপীড়নের প্রমাণ মিলেছে: জাতিসংঘ
জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের মারাত্মক নিপীড়নের ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ’ পাওয়া গেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এসব তথ্যপ্রমাণ সম্ভাব্য ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের পর্যায়ে পড়ে বলে এ দাবি করা হয়েছে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চীন বলছে এটা পশ্চিমা শক্তিগুলোর ‘প্রহসনের আয়োজন’। খবর বিবিসির।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের কার্যালয় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। উইঘুর মুসলিম নির্যাতনের এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করার আহ্বান জানিয়েছিল চীন।

জাতিসংঘ প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে উইঘুর মুসলিম ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ পর্যালোচনা করা হয়েছে। তদন্তকারীরা বলছেন, তাঁরা নিপীড়নের ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ’ উদ্‌ঘাটন করেছেন, যা সম্ভাব্য ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের পর্যায়ে পড়ে। সংখ্যালঘুদের অধিকার হরণ করতে চীন অস্পষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে এবং ‘বিধিবহির্ভূত আটকের ব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যসহ বন্দীরা বিভিন্ন ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অন্যদের ওপর বৈষম্যমূলক পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের সুপারিশে বলা হয়েছে, চীন অবিলম্বে যেন ‘বিধিবহির্ভূতভাবে স্বাধীনতাবঞ্চিত সব ব্যক্তিকে’ মুক্তি দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেয়। বেইজিংয়ের কিছু কর্মকাণ্ড ‘কমিশনের কাছে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ আন্তর্জাতিক অপরাধের’ পর্যায়ে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

উইঘুর নির্যাতন বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করলেও ঠিক কত মানুষকে চীনা সরকার আটক করেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় জাতিসংঘ। চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ের শিবিরগুলোয় ১০ লাখের বেশি মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে বলে ধারণা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর।

উল্লেখ্য, জিনজিয়াংয়ে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি উইঘুরের বসবাস, যাদের অধিকাংশই মুসলিম। সেখানকার অমুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলেছে জাতিসংঘ। এর আগে চীনের এ কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছিল কয়েকটি দেশ। তবে শুরু থেকেই বেইজিং নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। চীনের দাবি, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলারই অংশ এসব বন্দিশিবির খোলা হয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *