Main Menu

তুরস্ক চাইলেই বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক পাঠাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক নির্মাণশ্রমিক চাইলে পাঠানো হবে। বিষয়টি ইতোমধ্যে তুরস্ককে জানানো হয়েছে। উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পরই এ বিষয়ে জানাবে তারা। এ কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার সিলেটে ‘বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এই কর্মশালার আয়োজন করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও গবেষণা সংস্থা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য যে দল তুরস্কে আছে তাদের আরও কিছু সময় রাখার অনুরোধ করেছে দেশটি। বাংলাদেশ এতে রাজি হয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকেও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তুরস্কে এখনো অনেক মানুষের লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়ে গেছে। উদ্ধারকাজ চলছে। তারা বলেছে, পরবর্তী সময় রিকনস্ট্রাকশন করে তাদের (ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের) বাড়িঘর বানানো হবে। আমরা বলেছি, বাড়িঘর বানাতে চাইলে প্রয়োজনে নির্মাণশ্রমিক যদি দরকার হয়, আমরা দিতে পারব। য‌দিও তাদের কনস্ট্রাকশনের (নির্মাণ) লোক আছে বলে জা‌নিয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (তুরস্ক) আমাদের প্রশংসা করেছে, সঠিক সময় আমাদের লোকজন (সহায়তার কাজে) সেখানে গেছে। আর বলছিল, আমাদের লোকজন আরও কিছুদিন সেখানে থাকতে পারবে কি না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেটা এক্সটেনশন করেছেন।’

প্রাণিসম্পদ খাত আমাদের দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বছরে এ খাত থেকে ৪৬ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা আয় করছে সরকার। আর শুধু চামড়া বিক্রি করে আমরা বছরে ১.১ বিলিয়ন ডলার আয় করছি। এছাড়া মাংসজাতসহ এই খাতের অন্যান্য দ্রব্য থেকে সরকার বছরে আরও ২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা আয় করে। তাই ব্যাপক সম্ভাবনাময় প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও উন্নত করতে সরকার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য সরকার বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ ও বিনিয়োগ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতের চাহিদা দেশে উৎপাদিত পণ্য দিয়েই পূরণ করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সরকার প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে।’






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *