Main Menu

ব্রিটেনে ‘এমবিই’ খেতাব পেলেন ড. এম জি মৌলা

নিউজ ডেস্ক:
ব্রিটেনে ব্রিটিশ রাজার ‘এমবিই’ (মেম্বার অব দ্যা মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অব দ্যা ব্রিটিশ অ্যাম্পায়ার) খেতাব পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি কমিউনিটির অত্যন্ত সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ড. এম জি মৌলা মিয়া।

কমিউনিটির সেবা, সমাজকল্যাণে অসামান্য অবদানের জন্য গত ৩০ ডিসেম্বর তাকে এ খেতাব প্রদান করা হয়।

ড. মৌলা মিয়া বার্মিংহাম এবং সলিহলের একজন সফল উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট। এমজি মৌলা মিয়া যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশে সফল ব্যবসায়িক গ্রুপ রাজনগর বিজনেস গ্রুপ এবং মৌলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। মৌলা ফাউন্ডেশন পারিবার দ্বারা পরিচালিত একটি চ্যারিটি সংস্থা। এই সংস্থার কার্যক্রম পরিচালিত হয় যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশে।

রাজনগর ব্যবসায়ী গ্রুপের অধীনে ব্যবসাসমূহের মধ্যে রয়েছে— রেস্টুরেন্ট, হোটেল, প্রোপার্টিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সুরমার ঢেউ নিউজপেপার পাবলিকেশন্স, এমবিএম এগ্রো ইন্ড্রাস্টিজ, এমবিএম বিল্ডার্স মার্ট সুপারস্টোর, এমবিএম ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সি।

সলিহল এবং বার্মিংহামের মানুষের মাঝে মৌলা মিয়ার রেস্টুরেন্ট স্বতন্ত্র ইমেজ তৈরি করে ব্যাপক সামাজিক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৮৭ সাল থেকে রাজনগর ইন্টারন্যাশনাল, সলিহল স্বতন্ত্র ভূমিকার মাধ্যমে বাংলাদেশি কমিউনিটির কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

ক্রিয়েটিভ ধারণা, নান্দনিক উপস্থাপনা এবং পরিবেশনার মাধ্যমে ব্রিটিশ মূলধারায় বাংলাদেশি খাবারের স্বতন্ত্র পরিচিতি তুলে ধরতে এমজি মৌলা মিয়ার অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘ডাইন বাংলাদেশি ক্যাম্পেইনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন তিনি। যুক্তরাজ্যে ইন্ডিয়ান খাবার হিসেবে ব্যাপক পরিচিত বাংলাদেশি খাবারের স্বতন্ত্র পরিচিতি প্রতিষ্ঠিত করতে এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছিল।

ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসএর বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে মৌলা মিয়া একজন নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী। তিনি গিল্ড অব বাংলাদেশি রেস্টুরেটার্স অ্যাসোসিয়েশন, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এই সংগঠন বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় দেখাশুনা করতো। মৌলা মিয়ার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ মিডিয়ায় ফলাওভাবে প্রচারিত হয় বিশেষভাবে হসপিটালিটি খাতে স্টাফ সংকটে মৌলা মিয়ার পদক্ষেপ পার্লামেন্টসহ মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।

মৌলা মিয়া বর্তমানে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইউকেবিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একটি মূলধারার ব্রিটিশ বাংলাদেশি ব্যবসায়িক সংস্থা যার সদর দপ্তর লন্ডনে অবস্থিত। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য কাজ করা এবং ব্রিটেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ও দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা। জাতীয় প্ল্যাটফর্মে ব্রিটেনের বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিত্বের জন্য নেতৃত্ব দেওয়া এবং উদ্যোগ নেওয়া মৌলা মিয়ার আজীবনের স্বপ্ন ছিল। এই সংগঠনে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে তিনি তার সেই লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ পাচ্ছেন।

সোশ্যাল ডাইভার্সিটি এবং কমিউনিটির পারস্পরিক যোগাযোগ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ১৯৮০ সাল থেকে মৌলা মিয়ার রেস্টুরেন্টসমূহ স্থানীয় কাউন্সিলের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। দীর্ঘদিন মৌলা মিয়া প্রাচীনতম বাংলাদেশি কমিউনিটি সংগঠন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে নতুন স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আসা লোকদের সহায়তা করতে ভূমিকা রেখেছেন।

মৌলা মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জোরালো ভূমিকা রাখেন। বিশেষ করে দাতব্যমূলক তৎপরতা বিশেষ করে— সলিহলে স্থানীয় স্কুলে সহায়তা, ওক্সফাম, পিহ্যাব, সিআরপি, শাইন, দ্যা আলজাইমাস/সোসাইটি, ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট, ফ্লাড রিলিফ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য অর্থসংগ্রহে ফান্ডরেইজিং ডিনার আয়োজন করে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছেন মৌলা মিয়া।

পরিবারের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত মৌলা মিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে বিশেষ করে বন্যার্তদের সহায়তা, কভিড-১৯সহ বিভিন্ন আপতকালীন কাঙ্ক্ষিত কল্যাণে কাজ করেছে নিরলসভাবে।

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার বাহাদুরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মরহুম মোস্তফা মিয়া ও ময়মুনা খাতুনের সন্তান ড. মৌলা মিয়া ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তার স্ত্রী ফারহানা বেগম চৌধুরী। তিনি দুই মেয়ে ও দুই ছেলের জনক।

খেতাব পাওয়ায় এক প্রতিক্রিয়ায় এমজি মৌলা মিয়া জানান, ইতিবাচক প্রভাব প্রতিষ্ঠায় আমি আমার ব্যবসা এবং পেশাগত জীবনে সবসময় সচেতন ছিলাম। বাংলাদেশি কমিউনিটির মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ব্রিটেনের মাল্টি কালচারাল সোসাইটির কল্যাণে প্রভাববিস্তারমূলক কাজ করতে উৎসাহ বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। সমাজসেবায় এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির কল্যাণে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ আমি এমবিই খেতাবে ভূষিত হয়েছি। আমি ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য আমার ভূমিকা আরও জোরালো করব এবং যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশে সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডও অব্যাহত রাখার অঙ্গিকার ব্যক্ত করছি।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *