তওবার নামাজ পড়ার নিয়ম
তওবার নামাজ পড়ার নিয়ম
তওবা শব্দটি আরবি। এর আভিধানিক অর্থ হলো অনুশোচনা বা পুনরায় পাপ না করার সংকল্প। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় নিজের কৃত অপরাধের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে অপরাধ বা গুনাহ না করার দৃঢ়সংকল্প করাকে তওবা বলে। আর গুনাহের কাজ সংঘটিত হওয়ার পরপরই মাগফেরাতের উদ্দেশ্যে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়াকে সালাতুত তওবা বা তওবার নামাজ বলে।
এই নামাজের জন্য গোসল করা মুস্তাহাব। তওবার নামাজ অন্যান্য নফল নামাজের মতো করে আদায় করবে। এর জন্য পৃথক কোনো নিয়ম নেই। অর্থাৎ, কেউ তওবার নামাজ পড়তে চাইলে এভাবে নিয়ত করতে হবে যে, হে আল্লাহ! দু’রাকাত তওবার নামাজ আদায় করছি, আপনি কবুল করুন। এরপর অন্যান্য নামাজের মতো সূরা-কেরাত, তাশাহুদ, দরুদ পড়ে সব কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
আর নিষিদ্ধ ও মাকরুহ ওয়াক্ত ছাড়া যেকোনো সময় তওবার নামাজ পড়া যাবে।
তওবার নামাজের পর আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হয়ে দোয়া করা উত্তম। এসময় থেকে আর কখনো পাপ কাজে লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে মনের সব আকুতি জানিয়ে রাখতে পারেন।
শয়তান এবং নফসের ধোকায় পড়ে মানুষ পাপকাজে জড়িয়ে পড়ে। তবে পাপে জড়িয়ে যাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে অনুতপ্ত হওয়া এবং তওবা করা একজন মুমিন ও মুসলিমের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সা. বলেছেন, ‘ওই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! যদি তোমরা পাপকাজে লিপ্ত না হতে, তা হলে আল্লাহ তোমাদেরকে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত করে তোমাদের পরিবর্তে এমন নতুন এক জাতিকে নিয়ে আসতেন, যারা গুনাহ করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আর আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন এবং গুনাহ মাফ করবেন।’ (মুসলিম : ২৭৪৯)
Related News
দুধ মা হালিমাকে যেভাবে সম্মান করতেন প্রিয়নবী সা.
দুধ মা হালিমাকে যেভাবে সম্মান করতেন প্রিয়নবী সা. মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মেরRead More
কারো সঙ্গে ঝগড়া হলে কী করবেন?
কারো সঙ্গে ঝগড়া হলে কী করবেন? কারো সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হওয়া অপছন্দনীয় কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম।Read More