Main Menu

অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ে নতুন ভাবনায় সুইডেন

নিউজ ডেস্ক:
সুইডেনে অবস্থানরত অনিয়মিত অভিবাসীদের প্রশাসনিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো বাধ্যতামূলক করা নিয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে দেশটির জোট সরকার। সিরিজ অভিযান এবং ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করার কঠোর করার পরিকল্পনা করছে স্ক্যান্ডিনেভীয় অঞ্চলের এই দেশ।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে সুইডশ জোট সরকারের কট্টর ডান ও অন্যান্য শরিকদের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন অভিবাসনমন্ত্রী মারিয়া মালমার স্টেনারগার্ড৷

তিনি বলেন, বর্তমানে সুইডিশ ভূখণ্ডে অবস্থানরত হাজার হাজার অনিয়মিত অভিবাসীদের শনাক্ত ও ফেরত পাঠাতে অভিযান চালানোর বিষয়টি ভেবে দেখছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, “সরকারি দপ্তরে অনথিভুক্তদের বাধ্যতামূলক হাজিরা দেয়ার প্রস্তাব সুইডিশ সমাজে সৃষ্ট আলাদা ছায়া সমাজকে প্রতিহত করতে ভূমিকা রাখবে।”

তার মতে, বর্তমানে এক লাখ মানুষ অবৈধভাবে সুইডেনে অবস্থান করছে। তবে তিনি কোন সূত্র থেকে এ সংখ্যা বলেছেন সেটি নিশ্চিত করেননি।

অনিয়মিত অভিবাসীদের অবস্থা সম্পর্কে সুইডিশ পৌরসভা, মাইগ্রেশন এজেন্সি এবং পুলিশকে জানাতে বাধ্য করা উচিত কিনা সেটি নিয়ে পর্যালোচনা করছে সরকার। মূলত প্রস্তাবটি এসেছে জোটের শরিক কট্টর ডান রাজনৈতিক দল থেকে।

স্টেনারগার্ড আরও বলেন, “অনিয়মিতদের ফেরত পাঠানোর সংখ্যা বাড়াতে ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া উন্নত করতে প্রস্তাবটি প্রয়োজনীয়।”

বাস্তবায়নে যত চ্যালেঞ্জ

তবে অনিয়মতদের রিপোর্টিং বাধ্যতামূলক করা হলে সেটির প্রভাব কী হবে তা স্পষ্ট নয়। কারণ সুইডেনে অনিয়মিত পরিস্থিতিতে থাকা অনেক অভিবাসী আফগানিস্তান এবং ইরাকের মতো দেশের নাগরিক। এসব দেশ সাধারণত স্বেচ্ছায় ফিরে না আসলে নাগরিকদের গ্রহণ করে না। জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক দেশ আগ্রহী নয়।

প্রস্তাবনাটি তদন্তের দায়িত্বে থাকা তদন্তকারীরা, বিজ্ঞপ্তি বা অবহিত করার বাধ্যবাধকতা মেনে না চলার পরিণতি নিয়েও যাচাই বাছাই করে দেখবে। উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্যখাতসহ বেশ কিছু খাতে অনিয়মিতদের রিপোর্টিং বাধ্যতামূলক করা থেকে মওকুফ করা হতে পারে।

এছাড়া, স্কুলগুলোকেও এই বিধানের আওতার বাইরে রাখা হবে কীনা সেটিও অস্পষ্ট। এটি নিয়ে লিবারেল পার্টি এবং কট্টর ডান (এসডি) এর মধ্যে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।

তদন্তকারী সুইডেনে অভিবাসীদের বেআইনি অবস্থান প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষকে আরও ক্ষমতা দেয়ার লক্ষ্যে আইনি কাঠামো নিয়ে পর্যালোচনা করবে।

ডিএনএ পরীক্ষার সম্ভাবতা যাচাই

অভ্যন্তরীণ ইমিগ্রেশন চেকের জন্য আঙুলের ছাপ নেয়ার বয়সসীমা বর্তমানে ১৪ বছর। এটি আরও কমানো হবে এবং মাইগ্রেশন এজেন্সিকে মুখাবয়ব এবং আঙুলের ছাপসহ বায়োমেট্রিক্স ব্যবহার করার জন্য আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে একটি সরকারি সূত্র।

সুইডিশ ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট দলের অভিবাসন বিষয়ক মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান কার্লসন বলেন, “নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী আঙ্গুলের ছাপ এবং ছবি আরও বেশি ক্ষেত্রে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা হতে পারে।”

অভ্যন্তরীণ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং বসবাসের অনুমতির ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবহার সম্ভব কীনা সেটিও পরীক্ষা করবে তদন্তকারীরা। বর্তমানে একজন অনিয়মিত অভিবাসীকে চার বছরের মধ্যে ফেরত পাঠানোর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই সময়কাল বিলুপ্ত বা বাড়ানো উচিত কিনা তাও পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া অনিয়মিতদের ফেরত যেতে জারি করা নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বিশদ নিরীক্ষা করা হবে।

আলোচিত এই প্রস্তাবনাটি নিয়ে আগামী জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন এবং আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *