Main Menu

অপ্রিয় সত্য- চৌধুরী হাফিজ আহমদ

প্রায় প্রত্যেক বছর অর্থাৎ কয়েক যুগ থেকে আমি দেখি মহররম মাস আসলে আশুরার পরিবর্তে আলেম উলামারা কারবালাকে প্রাধান্য দিতে , এমন করে কারবালা কে উপলক্ষ করেন এতে করে মুহাররমুল হারামের অর্থাৎ পবিত্র আশুরার মর্যাদা কে যে ক্ষুন্ন করছেন তা খেয়াল ই করেন নাহ , এই মাসে যে আশুরা , এবং আশুরা যে বরকত পূর্ণ তা বেমালুম ভুলতেই বসেছে প্রজন্ম ,এর উপরে রয়েছে তাজিয়া চাবুক মারা মাতম ইত্যাদি কু সংস্কার ,প্রায় ই শুনি নতুন প্রজন্ম কে বলতে আশুরায় কারবালা হয়েছিল , অথচ আশুরার সাথে কারবালার দুরতম কোন সম্পর্ক ই নাই । আশুরা হচ্ছে মহামহিম পবিত্র এক অধ্যায় ,এই পবিত্রতম ব্যাপারে খোদ রাসুলুল্লাহ সঃ এর সাক্ষ্য রয়েছে , এত গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি মহররম ও আশুরা কে এর সমকক্ষ অন্য কিছুতেই আমরা দেখি না আশুরার রয়েছে এক নিজস্বতা যেখানে আল্লাহ রাব্বুল আল` আমিন নিজে দেখিয়েছেন মহানুভতা তিনি তাহার ওয়াহদানিয়াতের সাক্ষর অমর করে রেখেছেন কিয়ামত পর্যন্ত তিনি এমন কিছু উদাহরন রেখেছেন জিবন্ত এর মধ্যে পবিত্র আশুরা হচ্ছে শুরুতেই অন্যতম , আশুরাকে মর্যাদা দিতে গিয়ে রাহমাতুল্লিল আল আমিন যে বয়ান দিয়েছেন ও আমলের মাধ্যমে প্রতিস্টা করে গিয়েছেন এতেই প্রমানিত হয় এর গুরুত্ব আল্লাহর কাছে কত উচ্ছে । আমরা আশুরাকে কারবালার সাথে মিশিয়ে তালগোল পাকিয়ে এমন কিছু করে থাকি যার কোন বৈধতা কোথাও নেই, কারবালা হচ্ছে এক ধরনের ঘৃণ্যতম রাজনীতি – নিজেরাই নিজে থেকে ক্ষমতার লোভে করা হয়েছে , এই ফিতনায় নিজেরাই ঘায়েল হয়েছি আমরা , মুসলমান জাতির জন্য কারবালা হচ্ছে এক কলঙ্কময়য় অধ্যায় ,যার ফলে আমরা হারিয়েছি অসংখ্য ব্যক্তিত্বকে এর মধ্যে অন্যতম রাসুলুল্লাহ সঃ এর নয়নের মনি সহ বহু বহু সাহাবায়ে কিরাম রঃ আজমাইন দের , সন্দেহ নাই কারবালা মারাত্মক হৃদয় বিদারক , এতে করে উম্মাহ কে ভিবক্ত করে অবনতির দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে , খিলাফত কে অবহেলাকরে মুলকিয়াতের প্রতি ঝুঁকেছে নেতৃত্ব , কিন্তু এতে করে আশুরার বিন্দু মাত্র সম্মান ক্ষুন্ন হয়নি , আশুরা রয়েছে তাহার আপন মহিমায় , মহররমের ১০ দিনের এক সম্পূর্ণ প্যাকেজ নিয়ে চলছে আপন গতিতে , এতে যাহারা আমল করবে আল্লাহ তাহাদের কে পুরস্কৃত করবেন ইনশাহআল্লাহ , এই আমলগুলার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নফল সিয়াম পালন করা – ভাল ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করে পবিত্র থাকা – তাওবায় কাতর হওয়া – কম খাবার হলে ও উত্তম খাবার গ্রহন করা – এবং দান খয়রাত করা , যেহেতু আল্লাহ বর্ণিত সেরা মাস গুলার মধ্যে মহররম মাস অন্যতম এবং এই মাসেই আশুরা সংঘটিত হয়েছিল তাই সিয়াম থাকা মানেই এর গুরুত্ব কে প্রাধান্য দেয়া – অবশ্য সিয়ামের বেলায় হুকুম রয়েছে যে রাসুলুল্লাহ সঃ নির্দেশ দিয়েছেন আশুরার সিয়াম ২ টি রাখতে হবে বলে , এর কারন হচ্ছে আশুরা ইহুদী দের কাছে ও ছিল সমাদৃত তারাও রোজা রাখত এর কারন হিসাবে বলত যে হজরত মুসা আঃ ফিরাউন কে পরাজিত করে বিজয় লাভ করেছিলেন , কিন্তু মহানবী সঃ সিয়াম পালন করতেন সারা বছরের গোনাহ থেকে পানাহ চাইবার আশায় , যাহাতে বিধর্মীদের মত না হয় সে জন্য তিনি হুকুম করেছেন আশুরার সাথে আগে কিংবা পরে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আরেকটি সিয়াম রাখতে ,এতে বুঝা যায় আশুরার মর্যাদা অত্যন্ত বিশাল , ঐতিহাসিক ভাবে এই আশুরাকে অনেকেই অনেক ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তবে পৌরাণিক ইতিহাসে এর প্রমান পাওয়া যায় বিশেষ ভুমিকায় । আমাদের উচিত এই আশুরায় আল্লাহ কে সন্তস্ট করতেই আমোল গুলা করে যাওয়া , এই নিয়ে অনেক গল্প গুজব রয়েছে প্রচলিত – যেমন হজরত ইউসুফ আঃ জেল থেকে মুক্তি , হযরত ইয়াকুব আঃ চোখের দৃষ্টি ফেরত পাওয়া হজরত ইউনুস আঃ কে মাছের পেট থেকে উদ্ধার করা , হজরত ইদ্রিস আঃ কে আকাশে উটিয়ে নেয়া ইত্যাদি যার কোন ভিত্তি পাওয়া যায় না এতা বিশ্বাস না করে একমাত্র আল্লাহ সন্তোষটির জন্য তাওবা ইসতেগফার করা , রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন বলে হজরত আয়েশা সিদ্দিক্কা রঃ বর্ণনা করেছেন এই মাসের আশুরায় আল্লাহ তায়ালা অনেক সম্প্রদায় কে মুক্তি দিয়েছেন এবং অনেক সম্প্রদায় কে তিনি ক্ষমা করবেন , তাই ইসতেগফারের বিকল্প কিছুই নাই আল্লাহ যেন আমাদের নেক আমল গুলা করার তাওফিক্ক দান করেন এবং ফালতু ও অযথা ফিতনা থেকে বেচে থাকার তাওফিক্ক দান করেন ।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *