Main Menu

জার্মানিতে বাড়ছে শরণার্থী বিরোধী মনোভাব

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
গত কয়েক বছর ধরে জার্মানিতে বাড়ছে শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা৷ তাদেরকে জায়গা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সরকার৷ ফলে স্থানীয়দের মাঝেও তৈরি হচ্ছে শরণার্থী বিরোধী মনোভাব৷

উত্তর জার্মানির ছোট্ট গ্রাম উফাল৷ সেখানে কাঠের প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় জার্মানরা৷ এমনই একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা রযেছে: ‘‘উফাল না বলছে৷’’ আরেকটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল: ‘‘আমাদের সন্তানদের কথা ভাবুন৷’’

৫০০ মানুষের ওই গ্রামের ৪০০ শরণার্থীকে জায়গা দিতে চায় সরকার৷ এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই প্ল্যাকার্ড হাতে হাজির হয়েছেন স্থানীয়রা৷

শুধু উফালই নয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানির অনেক অঞ্চলেই শরণার্থীদের আগমন বেড়েছে৷

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে দেশটিতে মোট দুই লাখ ১৮ হাজার আশ্রয়আবেদন জমা পড়েছে৷ আবেদনের এই সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় দুই গুণ বেশি৷ আর ২০১৫-১৬ সালের পর সর্বোচ্চ৷

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করা ব্যক্তিদের বেশিরভাগ যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ সিরিয়া এবং আফগানিস্তান থেকে এসেছেন৷ আরো আছেন তুরস্ক এবং ইরাকের নাগরিকেরা৷

তাছাড়া, উল্লেখিত সময়ে ইউক্রেন থেকে দশ লাখেরও বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন জার্মানিতে৷ তাদের অবশ্য বিশেষ মর্যাদায় আশ্রয় দেওয়া হযেছে৷ ফলে ইউক্রেনীয় নাগরিকদের আলাদাভাবে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে হয়নি৷

এদিকে উফালে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে সেখানকার ম্যাকলেনবুর্গের স্পোর্টস হলগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে৷ প্রতি সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০জন কের নতুন শরণার্থী আসছেন গ্রামটিতে৷ এমন বাস্তবতায় উফালে কন্টেইনার স্থাপন করে আবাসনের ব্যবস্থা করতে বলছে স্থানীয় প্রশাসন৷

উফালের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা টিনো শোমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘ইউক্রেনের শরণার্থীসহ অন্যান্য দেশ থেকে আশ্রয়প্রার্থীরা আসার কারণে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, আমরা আর সামলাতে পারছি না৷ আমাদের আরো জায়গা দরকার৷’’

তবে স্থানীয়দের অনেকেই সরকারের এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে৷

পরিবেশবিদ এবং উফালের স্থানীয় বাসিন্দা আয়ান একিলিস বলেন, ‘‘এখানে জীবনযাপন খুব চমৎকার৷ কারণ জায়গাটি খুব শান্ত৷’’

কিন্তু কন্টেইনার বসানোর পরিকল্পনা এই পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে বলে মনে করেন তিনি৷

১৯৮০ সাল থেকে উফালে বাস করেন ট্রাকচালক ব্যার্নড ভিয়েন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখানে নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে চাই৷’’

নতুন করে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি ভাবছে জার্মান সরকার৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজার গত বৃহস্পতিবার এ নিয়ে আলোচনাও করেছেন৷ তবে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি৷

ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জার্মানির জেলা প্রশাসন সমিতির প্রধান রাইনহার্ড জাগের

সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, শতকরা ৫১ ভাগ জার্মান মনে করেন, অনেক বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিচ্ছে দেশটি৷






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *