Main Menu

রাস্তা নয়, যেন মরণ ফাঁদ! চরম দুর্ভোগ

রাস্তা নয়, যেন মরণ ফাঁদ! চরম দুর্ভোগ
নিউজ ডেস্ক:
মহব্বতপুরবাজার টু রাবারড্রামের রাস্তাটি এখন জনসাধারণের জন্য রাস্তা নয়! যেন মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিদিন দুর্ঘটনায় পড়ছে পথচারী ও সাধারণ যানবাহন। এ রাস্তা দিয়ে যান চলাচল করা তো দূরের কথা! পায়ে হেঁটে যাওয়াও কষ্টসাধ্য। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ।

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ও লক্ষীপুর দুই ইউনিয়ন থেকে সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হলো মহব্বতপুরবাজার টু রাবারড্রামের রাস্তা। এ রাস্তা সংস্করণ না হওয়ার কারণে পণ্য পরিবহনেও পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এলাকাবাসীর দাবির মুখে জনপ্রতিনিধিদের বারবার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরও দীর্ঘদিন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই রাস্তাটিতে। বর্ষার পানিতে ডুবে থাকায় রাস্তায় বিশাল-বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অসংখ্য জায়গা ভেঙে পড়াসহ লোহার রড বের হয়ে রয়েছে। যার জন্য ঘটতে পারে যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনা।

প্রতিদিন গর্তের মধ্যে আটকা পড়ছে, এর ফলে দেখা দিয়েছে জনসাধারণের ভোগান্তি। কখনো যাত্রীবাহী গাড়ি উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা, যাত্রীরা ভয়ে গাড়ী থেকে নেমে হেটে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির কাজ না হওয়ায় বর্তমানে স্থানে-স্থানে ভেঙে গিয়ে এতবেশি পরিমাণ গর্ত সৃষ্টি হয়েছে যে,গাড়ি চলাচল করতে নানা ধরণের অসুবিধা সৃষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া পাকারাস্তা ভেঙ্গে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অনেক কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষকে উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ রাস্তা দিয়ে গর্ভবতী নারী, অসুস্থ ও বয়স্ক লোকজনের যাতায়াত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

রাবার্ড্রাম বাজারের ব্যবসায়ী ডাঃ আশাম উদ্দীন বলেন, দেশ ডিজিটাল হয়েছে কিন্তুু রাস্তা এখনো ডিজিটাল হয় নাই। সরকারের কাছে জুড়দাবি অতি শীগ্রই রাবারড্রাম থেকে মহব্বতপুরবাজার পর্যন্ত এ রাস্তাটি সংস্কর চাই।

মহব্বতপুরবাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, মহব্বতপুরবাজার রাবাড্রামের রাস্তা দিয়ে সমুজ আলী স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্র/ছাত্রীরা যাতায়ত করে। এ রাস্তার অবস্থা একদম নাজেহাল। এ রাস্তা সংস্কর না করলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা।

সুরমা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল উদ্দীন বলেন, দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এমপি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে তারা বলেছেন সুদিন আসলে এ রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্তা করে দেবে।

 

সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোশারফ হোসেন বলেন, মহব্বতপুরবাজার টু রাবারড্রামের রাস্তা দিয়ে সুরমা ও লক্ষীপুর দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ও অসংখ্য যানবাহন যাতায়াত করে। এ রাস্তাটি চলাচলের জন্য একদম অনুপযোগী। এর জন্য দোয়ারাবাজার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও এমপি মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি তিনারা বলেছেন অতি শীগ্রই এ রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্তা করে দেবেন। বাকি আল্লায় জানে!

দোয়ারাবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানভীর আশরাফী চৌধুরী বলেন,গেল সপ্তাহে এ রাস্তা দিয়ে গিয়ে ছিলাম দেখলাম এ রাস্তার অবস্তা খুবই খারাপ। আমি ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি এ রাস্তার ব্যপারে। কিছু দিনের মধ্যে মহব্বতপুরবাজার টু রাবারড্রামের রাস্তার কাজ শুরু হবে।

দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে, তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *