শরণার্থীদের নিয়ে ইউরোপের ‘ভণ্ডামি’র নিন্দা মানবাধিকার কর্মীদের

নিউজ ডেস্ক:
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর বাস্তুচ্যুত হয়েছে দেশটির ৩০ লাখ মানুষ। শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলো। গত দশ বছরে ইউরোপে আশ্রয়ের আশায় ভিড় করেছিল এশিয়ান এবং আফ্রিকান দেশগুলো থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা। তাদের সাথে ইউরোপের বিরূপ আচরণ নজর কাড়ে সারা বিশ্বের। এমন দ্বিমুখী আচরণে নিন্দায় এবার মুখর শরণার্থী সহায়তা কর্মীরা।
২০২১ সালের শেষের দিকে ইরাক থেকে আগত শরণার্থী সংকটের কথা উল্লেখ করে ওয়ারশভিত্তিক মানবাধিকার আইনজীবী মার্টা গর্সিঙ্কা বলছেন, ‘‘ইউরোপের চরিত্র এখন ভিন্ন। পোলিশ কর্তৃপক্ষ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানাচ্ছে এবং তাদের সহায়তা দিচ্ছে। অথচ ইরাকের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা চালু করা হয়েছিল এবং সীমান্ত এলাকায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা ছিল।’’ খবর আল জাজিরার
ইউরোপের এমন দ্বৈত আচরণের নিন্দা করে গর্সিঙ্কা বলেন, ‘‘একই কাজ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খুব আলাদা আচরণ লক্ষ্য করা যায়। এটা নিন্দনীয়।’’
ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের অবাধে সাহায্য বিতরণ করার অনুমতি দিলেও মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থীদের সাহায্যকারী কর্মীদের ওপর জরিমানা আরোপ করেছিল পোলিশ কর্তৃপক্ষ। এমন ঘটনাকে মানবাধিকার কর্মীরা ইউরোপীয় দেশগুলোর ‘ভণ্ডামি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সম্প্রতি হাঙ্গেরির কুখ্যাত অভিবাসনবিরোধী জনপ্রিয় নেতা ভিক্টর অরবান ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সাহায্যকে সমর্থন করেছেন। একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে গ্রিসের ক্ষেত্রেও। অথচ উভয় দেশের সীমান্ত থেকে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশীয় শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর খবরে সয়লাব হয়েছিল বিশ্ব গণমাধ্যম।
Related News

ওমরাহ পালনে নারীদের পোশাক নির্ধারণ করে দিল সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মক্কা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র কাবা শরীফে ওমরাহ করতে যাওয়া নারীরা কী ধরণের পোশাকRead More

অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ে নতুন ভাবনায় সুইডেন
নিউজ ডেস্ক: সুইডেনে অবস্থানরত অনিয়মিত অভিবাসীদের প্রশাসনিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো বাধ্যতামূলক করা নিয়ে একটি প্রস্তাবRead More