Main Menu

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: কোন দেশে কি স্কলারশিপ?

নিউজ ডেস্ক:
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে। তবে সব রকম প্রস্তুতি থাকলেও সঠিক তথ্য না জানার কারণে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ হয় না অনেকে। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার ঠিক কবে থেকে শুরু করবেন এবং কীভাবে আগাবেন।

দেশ বা বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে নিয়মিতই প্রতিবছর কিছু বৃত্তি দেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজে চোখ রাখলে সাধারণত এসব বৃত্তির খবর পাওয়া যায়।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা মূলত ব্যয়বহুল। তাই অনেকের পক্ষে এ ব্যয় বহন করা বেশ কষ্টসাধ্য। এক্ষেত্রে বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা মূলত স্কলারশিপের খোঁজ করে থাকেন। বিভিন্ন দেশে স্কলারশিপ (বৃত্তি) নিয়ে পড়তে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আবার অনেকে দেশে পড়াশুনা শেষেই মিলবে সিটিজেনশিপ ও চাকরি।

যারা গ্র্যাজুয়েশন করতে যেতে চান

উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চান তাদের আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন বিষয়ে অধ্যায়ন করতে চান। আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী বিষয় নির্বাচনের পর সেটার চাহিদা চাকরির বাজারে কেমন সেটা একটু ঢুঁ মেরে দেখা দরকার। এরপর পড়তে যাওয়ার দেশ নির্বাচনের বিষয়ে ও যে বিষয়ে পড়তে যাবেন সেই বিষয়টি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো পড়ানো হয়, সেই বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া। সব তথ্য সংগ্রহের পর সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী পাড়ি জমাতে পারেন বিদেশে।

মাস্টার্স ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন

যারা ইতোমধ্যে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন তারা মোটামুটি বিষয় নির্বাচন করে রাখেন। কিন্তু মাস্টার্সের ক্ষেত্রে দেখা যায় বিদেশে অধ্যয়ন করতে গেলে গ্র্যাজুয়েশনের বিষয়টি পাওয়া যায় না। তাই নিজের ক্যারিয়ার অনুযায়ী কোন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করলে ক্যারিয়ার আরও ঊজ্জ্বল হবে, সে বিষয়ে জানতে ও ভাবতে হবে।

যারা বিদেশে পড়তে যেতে চান, তাদের উচিত হবে গ্র্যাজুয়েশন ৪র্থ বর্ষ থেকেই এ বিষয়ে খোঁজ- খবর নেওয়া। কোন দেশে যেতে কী কাগজপত্র ও কী যোগ্যতার প্রয়োজন পড়বে সে বিষয়ে ধারণা নেওয়া।

কোনটার জন্য কি কোয়ালিফিকেশন

যারা যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যেতে ইচ্ছুক তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের জন্য প্রয়োজন গ্রাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন (জিআরই)। আর যারা ব্যবসা অথবা মানবিক বিষয়ে পড়তে ইচ্ছুক তাদের জন্য আছে গ্রাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট (জিম্যাট)। যারা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে বিদেশে যেতে চান অথবা বিদেশে কোনো কলেজে ভর্তি হতে চান তাদের জন্য স্কলাস্টিক অ্যাপিচিউড টেস্ট (স্যাট)।

ইউরোপীয়ান দেশগুলোতে আমেরিকাভিত্তিক জিআরই বা জিম্যাট প্রয়োজন হয় না। জিআরই বা জিম্যাটের মেয়াদ ৫ বছর থাকে। তবে ২-৩ বছরের বেশি সময় হলে প্রফেসররা আবার পরীক্ষায় বসার সাজেশন দিয়ে থাকে।

বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এখানে থাকছে বিভিন্ন দেশের বৃত্তির তথ্য।

যুক্তরাষ্ট্র: ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়া যায় এই বৃত্তির আওতায়। ১০টি ভিন্ন একাডেমিক খাতে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

প্রাথমিক যোগ্যতা: ভালো ফলসহ ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রি।

সংযুক্তি: টোয়েফল স্কোর ৮০ বা আইইএলটিএস স্কোর ৭.০, নির্বাচনী ধাপে জিআরই পরীক্ষার স্কোর যুক্ত করতে হয়।

কানাডা: এডু কানাডা স্টাডি ইন স্কলারশিপ

কানাডা সরকারের অর্থায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে পড়ার সুযোগ আছে এই বৃত্তির আওতায়। চার মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বৃত্তি দেওয়া হয়।

আবেদনপ্রক্রিয়া: অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

যুক্তরাজ্য: কমনওয়েলথ বৃত্তি

যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে পড়ার সুযোগ মিলবে এই বৃত্তির মাধ্যমে। প্রায় ছয়টি ক্ষেত্রের বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হয়।

প্রাথমিক যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

সংযুক্তি: ভাষা দক্ষতার সনদ হিসেবে আইইএলটিএস স্কোর গ্রহণ করা হয়।

ফ্রান্স: আইফেল এক্সেলেন্স বৃত্তি

এই বৃত্তি নিয়ে ফ্রান্সে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ আছে।
আবেদনের যোগ্যতা: ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার পাশাপাশি স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য এইচএসসি এবং স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য স্নাতকে ভালো ফল প্রয়োজন।

জার্মানি: ডিএএডি বৃত্তি

জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে বৃত্তি পাওয়া যায় ডিএএডি-এর আওতায়।
আবেদনের যোগ্যতা: ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার পাশাপাশি স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য এইচএসসি এবং স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য স্নাতকে ভালো ফল প্রয়োজন।

রাশিয়া: সরকারি বৃত্তি

শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির জন্য বৃত্তি পাবেন। তবে সে জন্য এক বছর রুশ ভাষা শিখতে হবে।

আবেদনের যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাধারণ যোগ্যতা।

চীন: সিএসসি বৃত্তি

চায়নিজ স্কলারশিপ সেন্টারের বৃত্তির মাধ্যমে চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ আছে। বৃত্তিপ্রাপ্তদের চীনা ভাষা শেখানো হয়।

আবেদনের যোগ্যতা: ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার পাশাপাশি স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য এইচএসসি এবং স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য স্নাতকে ভালো ফল প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের তালিকায় যেসব দেশ রাখে তাদের মধ্যে রয়েছে– যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি, ব্রিটেন, চীন, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশ। এ দেশেগুলোর মাঝে কানাডা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষা পরবর্তী সিটিজেনশিপ লাভের সুযোগ বেশি।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *