Main Menu

টাকা দিতে দেরি হওয়ায় পেটে টিউমার রেখেই সেলাই!

নিউজ ডেস্ক:
টাকা দিতে দেরি হওয়ায় পেটের মধ্যে টিউমার রেখেই সেলাই করে দিলেন চিকিৎসক। শনিবার ভোররাতে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনরা এ অভিযোগ করেন। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রোগী ও স্বজনরা জানান, শুক্রবার দুপুরে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার নয়াডিঙ্গি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী ওই নারীকে ভর্তি করা হয় বেসরকারি হেলথ কেয়ার হাসপাতালে। প্রসবযন্ত্রণা ওঠায় রাত ২টার দিকে তাকে নেওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। অপারেশন করতে আনা হয় জেলা শহরের ডক্টর’স ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. খায়রুল হাসান ও অজ্ঞানের চিকিৎসক ডা. আশিককে। এতে একটি সুস্থ কন্যাশিশুর জন্ম হয়। অপারেশন শেষে ওই নারীর পেটে একটি টিউমার দেখতে পান চিকিৎসক। ৩ হাজার টাকা দিলে তিনি অপারেশন করে ওই টিউমার অপসারণ করবেন বলে রোগীর স্বজনদের জানান। কিন্তু টাকা দিতে দেরি হওয়ায় তিনি পেটের মধ্যেই টিউমার রেখে সেলাই করে চলে যান। ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। আমি গরিব মানুষ। আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় অন্য হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক ডেকে আনা হয়। অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্মের পর পেটে টিউমার ধরা পড়ে। চিকিৎসক টিউমার অপসারণ করতে ৩ হাজার টাকা চান। আমি তার প্রস্তাবে রাজি হই এবং টাকাটা নগদ তাকে দিতে চাই। কিন্তু ভোররাতে “বিকাশ”-এর দোকান বন্ধ থাকায় টাকা সংগ্রহ করতে দেরি হওয়ায় চিকিৎসক পেটের মধ্যে টিউমার রেখেই সেলাই করে চলে যান।’ ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘পেট থেকে সন্তান বের করার পর কমপক্ষে আধঘণ্টা আমাকে সেখানে পেট কাটা অবস্থায় ফেলে রাখে। তারপর পেটে টিউমারটি রেখে সেলাই করে দেয়।’ হেলথ কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সার্বক্ষণিক থাকলেও সার্জারির চিকিৎসক অধিক রাতে থাকেন না। এ কারণে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে সার্জারির চিকিৎসক ডেকে এনে অপারেশন করাই। শুক্রবার রাতে আমার শরীরটা খারাপ থাকায় একটু আগে শুয়ে পড়ি। ডা. খায়রুল হাসান অপারেশন শুরুর পর রোগীর লোকজন আমাকে ফোন করে আসতে বলেন। আমি চিকিৎসককে অনুরোধ করে বলি রোগী টাকা না দিলে আমি তাকে টাকা দেব। কিন্তু তিনি অস্ত্রোপচার না করে পেটের মধ্যে টিউমার রেখে সেলাই করে চলে যান। এটি অত্যন্ত অমানবিক। এতে আমার হাসপাতালের সুনাম নষ্ট হয়েছে।’ জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. লুৎফর রহমান জানান, গতকাল সিনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ডা. রুমা আক্তারকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *