Main Menu

বাংলাদেশি শিশুর লেখা চিঠির জবাবে যা বললেন চীনা প্রেসিডেন্ট

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে লেখা চিঠির জবাব পেয়েছেন বাংলাদেশি শিশু আলিফা চীন। দেশটির মেডিকেল কলেজে পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে চিঠি লিখেছিলেন শিশু আলিফা। সম্প্রতি সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

শি জিনপিং তার চিঠিতে আলিফাকে পড়াশোনায় উৎসাহ জুগিয়ে লিখেছেন, আলিফা বড় হয়ে বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বের বার্তাবাহক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করায় এবং চীনের মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা শেষে চীনা মায়েদের সেবার করা যে ইচ্ছা পোষণ করেছে তাতে তিনি খুবই আনন্দিত।

সম্প্রতি শিশু আলিফাকে চিঠি দেন শি জিনপিং। ঢাকার চীনা দূতাবাস বুধবার (৩১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাকে পড়াশোনা, তার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

চীনা প্রেসিডেন্ট তার চিঠিতে লিখেছেন, আলিফার স্বপ্ন বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আলিফা চীনের চিঠি দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের একটি ভালো উদাহরণ। প্রাচীনকাল থেকেই চীনা ও বাংলাদেশিরা ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং ভালো বন্ধু, যাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান হাজার বছরেরও বেশি পুরনো।

শি জিনপিং আরও লিখেছেন, ৬০০ বছরেরও বেশি আগে মিং রাজবংশের একজন চীনা নাবিক ঝেং হে দু’বার বাংলাদেশে এসেছিলেন। যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের বীজ বপন করেছিল।

‘৬০০ বছরেরও বেশি সময় পরে চীনের নৌ-বাহিনীর একটি হাসপাতালের জাহাজের (দ্য পিস আর্ক) একজন চীনা মহিলা সামরিক ডাক্তার শিশু চীনের মাকে বিপজ্জনক সময়ে তাকে জন্ম দিতে সাহায্য করেছিলেন। আর চীনের বাবা তার নাম রেখেছেন চীনের বাংলাদেশি শব্দ অনুসারে ‘চীন’। এটি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী গল্প,’ চিঠিতে উল্লেখ করেন শি জিনপিং।

আলিফা চীন ভবিষ্যতে চীনের একটি মেডিকেল কলেজে পড়তে আগ্রহী। যাতে চিকিৎসক হয়ে তার মতো অন্যদের জীবন বাঁচাতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন- চীন তার যৌবনকালের সর্বোত্তম ব্যবহার করবে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তব করতে কঠোর অধ্যয়ন করবে বলেও জানায় আলিফা।

২০১০ সালে শিশু আলিফা জন্মের সময় তার গর্ভবতী মা গুরুতর হৃদরোগের কারণে একটি কঠিন প্রসবের শিকার হন। সেই সময় চীনা জাহাজ ‘দ্যা পিস আর্ক’ চট্টগ্রামে অবস্থান করছিল। স্থানীয় হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী না থাকায় চীনা জাহাজের চিকিৎসকরা তার মায়ের সিজার অপারেশন করেন।

চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তার বাবা শিশুটির নাম রাখেন ‘আলিফা চীন’।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *