Main Menu

প্যারিসে অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের আবাসনের দাবিতে আন্দোলন

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
প্যারিসের ১৬ তম অ্যারোন্ডিসমেন্টে একটি পরিত্যক্ত স্কুল ভবন দখল করে আন্দোলন শুরু করেছে ইতুপিয়া ৫৬সহ বেশ কয়েকটি অভিবাসী সংগঠন। ২০০ জনেরও বেশি অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্কের বাসস্থান ও সরকারি দায়িত্ব নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন করছে তারা৷

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের অভিজাত ১৬তম অ্যারোন্ডিসমেন্টের একটি পরিত্যক্ত স্কুলের ভবনের দখল নেয়া হয়৷ সেখানে ২০০ জনেরও বেশি অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসী অবস্থান নিয়েছে৷

এর আগে ২০২১ সালেও একবার এই ভবনটি দখল করা হয়েছিল। পরে আন্দোলনকারীদের আবাসনের আওতায় নিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছিল ফরাসি প্রশাসন। ়

বৃহত্তর প্যারিস অঞ্চলে আবাসন বঞ্চিত অনিয়মিত অভিবাসী, আশ্রয়প্রার্থী ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে সরকারি স্থাপনা দখল করে আন্দোলনের কৌশলটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

অভিবাসীদের এই আন্দোলনে সহযোগিতা করছে আলোচিত সংস্থা ইতুপিয়া৫৬সহ আরো কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা৷

আন্দোলন প্রসঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনজিওগুলো জানিয়েছে, স্কুল দখল করে রাখা তরুণ অভিবাসীরা তিন মাসেরও বেশি সময় ধর বিচ্ছিন্নভাবে প্যারিসের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ ঠাণ্ডা আর ক্ষুধায় কষ্ট পাচ্ছে৷ সঙ্গে আছে পুলিশি হয়রানি৷ এমনকি তাদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়া কিংবা নষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতিরও মুখোমুখি হয়েছে।”

বেড়েছে বিচ্ছিন্ন অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা

২০২২ সালের শেষ দিকে এসে অভিভাবকহীন বিচ্ছিন্ন তরুণদের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। কারণ রাজধানীতে অভিবাসী শিবির স্থাপন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। যদিও পাবলিক স্পেসে কখনও তাঁবু স্থাপনের অনুমোদন ছিল না, তবে আগে এক ধরনের সহনশীলতা বজায় ছিল।

বেশ কয়েকটি পার্কে রাতে অপ্রাপ্তবয়স্করা তাঁবু টানিয়ে কাটাতে পারত। কিন্তু সেটাও এখন সম্ভব হচ্ছে না৷

বর্তমানে পুনর্বাসন ছাড়াই অনুমোদিত ও অস্থায়ী অভিবাসী শিবিরগুলো ভেঙে দিচ্ছে পুলিশ। যার ফলে সরকারি সুবিধার বাইরে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্করা একা বা ছোট দলে বিভক্ত হয়ে রাতে থাকার জায়গা খোঁজে বেড়ায়৷

১৫ বছর বয়সি কিশোর আলফা সম্প্রতি ফ্রান্সে এসেছেন। তিনি এসব অভিবাসীদের দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন।

অন্যান্য অভিবাসীদের সঙ্গে রাস্তার ধারে তাঁবুতে দুই রাত ছিলেন। কিন্তু প্রতিবারই সেগুলো ভেঙ্গে দিয়েছে পুলিশ। আলফা ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন, “আমার বন্ধুরা ভীত ছিল৷ তারা সেখান চলে গেছে। আমি জানি না, তারা কোথায় আছে। আমি এখন একাই আছি।”

এই বাধ্যতামূলক বিচ্ছিন্নতায় উদ্বিগ্ন অভিবাসন সংস্থাগুলো। যেসব অপ্রাপ্তবয়স্করা সংস্থাগুলোর বাইরে চলে যায়, তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এতে তারা অভিবাসী পাচার চক্রের লক্ষ্যবস্তু হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয় বলেও মনে করে সংস্থাগুলো৷






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *