Main Menu

সময় শেষ হলেও শেষ হয়নি হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ

নিউজ ডেস্ক:
নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি সুনামগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ। পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো ৮০ শতাংশ কাজ শেষ করার দাবী জানালেও হাওর বাঁচাও আন্দোলনের দাবী এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কষ্টের সোনালী ফসল নিয়ে শঙ্কিত কৃষক।

একদিকে, মার্চের ১ম সপ্তাহে শতভাগ কাজ শেষের প্রতিশ্রুতি পাউবো’র। অপরদিকে, বুধবার থেকে সাধারণ কৃষকদের নিয়ে আন্দোলনে নামছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, অকাল বন্যা ও পাহাড়ি ঢল থেকে সিলেট অঞ্চলের প্রধান ফসল বোরো রক্ষায় সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর কারিগরি সহযোগিতায় চলছে ‘হাওর রক্ষা প্রকল্পে’র কাজ চলছে। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বাঁধ নির্মাণ, পুনর্নিমাণ ও হাওরে ক্লোজার নির্মাণ। প্রতি বছরের মতো এবারও ২০২৩ সালে বোরো ফসল রর্ক্ষায় হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সুনামগঞ্জ জেলায় ২০৩ কোটি টাকার বিশাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলায় প্রায় আড়াই লাখ হেক্টর বোরো ফসল আগাম বন্য ও পাহাড়ি ঢল থেকে রক্ষার জন্য এই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি এবং নির্ধারিত সময়ে অর্ধেক কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় হাওরপার জুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ।

এ বছর সুনামগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৮৯টি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ২০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এ পর্যন্ত বরাদ্দ হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে সমপরিমাণ অর্থ ছাড় দেয়া হয়েছে। হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কাজের শুরু যেমন যথা সময়ে হয়নি, তেমনী যথাসময়ে শেষ হওয়ারও নাম নেই। ফলে হাওরপাড় জুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ।

এদিকে, মধ্য মার্চে চেরাপুঞ্জির কাছে অবস্থিত সুনামগঞ্জে অনেক সময় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল নামে। কিন্তু মার্চের শুরুতে অর্ধেক কাজ শেষ না হওয়ায় হাওরপারের কৃষকেরা এবারও তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আছেন শঙ্কায়। কৃষকদের দাবী এবারও কি বানের জলে ভেসে যাবে ২শ কোটি টাকার নামমাত্র ফসল রক্ষা বাঁধ?

জানা গেছে, ২০২২ সালে ভয়াবহ বন্যার পর সুনামগঞ্জে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সময় শেষ হলেও কোন বাধেঁর কাজই পূর্ণাঙ্গ হয়নি। যেসব স্থানে বাঁধ হয়েছে সেসবের অধিকাংশ স্থানে মাটি দুরমুজ হয়নি। সবমিলিয়ে আগামী বোরো ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন হাওরপাড়ের কৃষকরা। তবে এ নিয়ে গেল মাসের (১৪ ফেব্রুয়ারী) পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি মার্চের প্রথম সপ্তাহে কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়ে গেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর একেএম এনামুল হক শামীম। কিন্তু মার্চের ১৫ দিনেও পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলেও আশঙ্কা স্থানীয় কৃষক ও হাওর বাঁচাও আন্দোলন নেতৃবৃন্দের।

জানা গেছে, গেল বছর সুনামগঞ্জে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জেলার ৬ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমির ১২১ কোটি টাকা ফসল ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এতে কৃষকরা নিঃস্ব হয়ে পড়েন। তারপরও এবার অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে কোমর বেঁধে সুনামগঞ্জের কৃষকরা বোরো ফলিয়েছেন মাঠে মাঠে। বর্তমানে সবুজ ধানের চারা লিক লিকিয়ে বেড়ে উঠছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো সুনামগঞ্জ জেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার পর্যন্ত জেলায় গড়ে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী কাজ সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা। পাউবো সুনামগঞ্জ জানায়, জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৮৩ শতাংশ, দিরাই ৭৬ শতাংশ, শাল্লায় ৮৩ শতাংশ, জগন্নাথপুরে ৮৫ শতাংশ, দোয়ারাবাজারে ৮৪ শতাংশ, ছাতকে ৮৪ শতাংশ, সদর উপজেলায় ৮৬ শতাংশ, বিশ^ম্ভরপুরে ৮৭ শতাংশ, ধর্মপাশায় ৭৯ শতাংশ, তাহিরপুরে ৭৩ শতাংশ, জামালগঞ্জে ৮৩ শতাংশ ও মধ্যনগরে ৭৫ শতাংশ বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শামসুদ্দোহা বলেন, ইতোমধ্যে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত জেলায় গড়ে মোট ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। মার্চের ১ম সপ্তাহেই শতভাগ কাজ সম্পন্ন করতে আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে।

তবে পাউবো’র এই তথ্য প্রত্যাখ্যান করে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, পাউবো মিথ্যাচার করছে। গোটা সুনামগঞ্জ মিলে ৪৫ থেকে ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে মাত্র। আজ মঙ্গলবারও আমাদের বিভিন্ন উপজেলা প্রতিনিধিগণ রিপোর্ট করেছেন কোন বাঁধের কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। মিডিয়া কাভারেজ ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কিছু বাধঁ পরিপাটি করে রাখা হয়েছে। বাস্তবে হাওর রক্ষা বাঁধের নামে লুটপাটের মহোৎসব চলছে। লুটপাট বাড়াতেই প্রকল্প বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অপ্রয়োজনীয় বাধঁ নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আজ বুধবার সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করবো। এরপর আমরা প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের বাস্তব চিত্র তুলে ধরবো। পর্যায়ক্রমে আমরা কৃষক সমাজের অধিকার রক্ষায় রাজপথে নামবো। হাওর রক্ষা বাঁেধর নামে লুটপাট করবেন যথা সময়ে কাজ শেষ করবেন না। হাওরপাড়ের মানুষ এসব বরদাশত করবেনা।

পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ধীরগতির হতাশাজনক। আমাদের মনিটরিং টীম আজ মঙ্গলবারও বিভিন্ন হাওরে সরেজমিনে পরিদর্শন করে এসেছে। কোন একটি বাধেঁর কাজও সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়নি। মিডিয়া ট্রায়ালের জন্য কিছু বাঁধের কাজের একাংশ শেষ করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বাঁধ নির্মাণে গঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনেও অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। গত বছরের ন্যয় এবারো অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ করে পকেটভারীর চেষ্টা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের মাঠের তথ্য অনুযায়ী সুনামগঞ্জে হাওর রক্ষা বাঁধ হয়েছে মাত্র ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ। পাউবো ৮০ শতাংশ কাজ শেষের যে ফিরিস্তি দিয়েছে তা কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ বাঁধের ধুরমুজ করাইত ২০ শতাংশ কাজ।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, কাজ বিলম্বের কারণে কৃষকরা এবারও তাদের ফসল নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে। হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। কারণ ফেব্রুয়ারির শেষ বা মার্চে চেরাপুঞ্জির কাছে অবস্থিত সুনামগঞ্জে অনেক সময় বৃষ্টি ও ঢল নামে। তাই সমুদয় ফসল তলিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।

তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭৮ বাঁধ নির্মাণ ও পুননির্মামণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে ৭৪৫ দমমিক ৭৭৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও পুননির্মাণ করার কথা। বন্ধ করা হবে ২১৮টি ক্লোজার। এ জন্যে ১ হাজার ৬৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়। সবগুলো পিআইসির কাজ চলমান রয়েছে। কেউ যথাসময়ে কবাজস শেষ করতে পারেনি।

স্থানীয়রা জানান, অনেক স্থানে শুধু বাঁধের ওপর মাটি ফেলা হয়েছে। কম্পেকশন বা ড্রেসিং হয়নি। কিছু জায়গায় এক্সভেটর দিয়ে মাঠি ভরাট করা হলেও কাজের গতি মন্তর। তবে কোনো কোনো স্থানে বাঁধের গায়ে দুর্বাঘাসও লাগানো হচ্ছে। কিছু জায়গায় পুরনো বাধেঁর উপর সামান্য মাটি দিয়ে ঘাস লাগানো হয়েছে। ঘাস তুলতেই পুরনো মাটি বেরিয়ে যায়। পাউবো কথিত পিআইসি গঠনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে আমাদের কষ্টের ফসলকে হুমকীর মুখে ফেলে দিয়েছে।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, সিলেট বিভাগের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি বোরো ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। ১২ উপজেলার প্রকৃতি নির্ভর মৌসুমী এ ফসল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ফসল জাতীয় খাদ্য ভাণ্ডারে যুক্ত হয়। এবার ২ লাখ ২২ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে এবছর সাড়ে ১৩ লক্ষ ৫২ হাজার মেট্রিক টন ধান পাওয়া যাবে।

তিনি জানান, খাসিয়া ও জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে জেলা অসংখ্য নদী ও হাওর বেষ্টিত জেলায় মৌসুমের শুরুতেই অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল নেমে অকাল বন্যা দেখা দেয়। তখন ফসলের মাঠ, বাড়িঘর বিপন্ন হয়ে পড়ে। গত বছর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জে ৬ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমির ১২১ কোটি টাকা ফসল ভাসিয়ে নিয়ে যায়। কৃষকরা জানান, এদিকে একে তো পিআইসি গঠনে দেরি, অন্যদিকে একমাত্র বোরো ফসল রক্ষায় হাওরের বাঁধ নির্মাণে অনেক স্থানে নিয়মনীতিই মানা হচ্ছে না। অনেক বাঁধের পাশ থেকেই মাটি তুলে শুধু মাটি ফেলেই শেষ, দুরমুজ করা হচ্ছে না। এছাড়াও পিআইসি গঠনেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ কাজ করার কারণে সামান্য পানির চাপে বাঁধে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা স্থানীয় কৃষকদের। আর চালু হওয়া বেশিরভাগ পিআইসি নিয়ম মোতাবেক দুরমুজ না করায় বাঁধ মজবুত হচ্ছেনা। ফলে পানি আসলে সেই ফাঁকা অংশ দিয়ে চুইয়ে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

চৈত্র মাস আসতে মাত্র ১৪ দিন বাকী। এরপরই বৈশাখ। আশা জাগানিয়া বৈশাখের আগমনে মুখিয়ে আছে হাওরপাড়ের মানুষ। তবে আশার সাথে দুলছে হতাশাও। কারণ একটাই, কষ্টের সোনালী ধান উঠলে দুঃখ ঘুচবে হাওরপাড়ের মানুষের। পাহাড়ি ঢল আর অকাল বন্যার হাত থেকে হাওরপাড়ের মানুষের কষ্টের ফসল রক্ষা করতে হাওরগুলোর চারপাশে নির্মাণ করা হয় উঁচু বাঁধ। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে পানিতে এসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরের বছর শুষ্ক মৌসুমে আবার তা সংস্কার করতে হয়।

তবে প্রতি বছরই বাঁধ নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ফলে বৈশাখের দিকে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেই ঢল নেমে আগাম বন্যা দেখা দেয়। এতে তলিয়ে যায় হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান। এবারও সেই দুশ্চিন্তায় কৃষক।

জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলায় ৫২টি হাওরের দুই লাখ ২৩ হাজার ৩০০ হেক্টর বোরো জমির ফসল রক্ষায় ৭৪৫ কিলোমিটার বাঁধ সংষ্কার ও মেরামতে ২০৩ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়। বাঁধ নির্মাণের কথা ১০৭২ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি)। যার অনুকূলে প্রাথমিক ভাবে ১০০ কোটি টাকা অনুমোদন হয়। পাউবোর কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) অনুযায়ী জমির মালিক ও প্রকৃত কৃষকদের দিয়ে পিআইসির মাধ্যমে ৭৪৫ কিলোমিটার বাঁধের কাজ সম্পন্ন করার কথা।

কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী গত ৩০ নভেম্বর মধ্যে বাঁধের কাজের জরিপ পিআইসি গঠন করে এবং ১৫ ডিসেম্বর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা। গত ১৫ ডিসেম্বরের পর নাম মাত্র ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হলেও বাঁধের অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় অনেক দেরিতে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, এলাকার প্রকৃত কৃষককে বাদ দিয়ে প্রভাবশালীদের দিয়ে পিআইসি গঠন করা হয়েছে। অথচ বাঁধের কাজে এমন ধীর গতিতে কৃষকের ফসল নিয়ে শঙ্কার শেষ নেই।

প্রসঙ্গত, গত বছর সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার ৫২টি হাওরের জন্য ৭২৭টি বাঁধ নির্মাণের জন্য পিআইসি গঠন করা হয় ৭২৭টি। এসব পিআইসি গঠন নিয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। নেপথ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বাঁধ নিয়ে ব্যবসা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ছিল ধর্মপাশা উপজেলায় বাঁধ নির্মাণকে ঘিরে। এবারও হাওরে সময়মতো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু ও পিআইসি গঠনে বিলম্ব এবং যথা সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষক ও কৃষক সংগঠনগুলোও।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *