Main Menu

জ্ঞানভাপি মসজিদে হিন্দুদের প্রার্থনার অনুমতি দিল ভারতীয় আদালত

জ্ঞানভাপি মসজিদে হিন্দুদের প্রার্থনার অনুমতি দিল ভারতীয় আদালত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের উত্তর প্রদেশের পবিত্র জ্ঞানভাপি মসজিদে নিয়ে বারাণসীর একটি আদালত হিন্দুদের দায়ের করা একটি আবেদন শুনতে সম্মত হয়েছে। হিন্দুরা কয়েক শতাব্দীর প্রাচীন একটি মসজিদে তাদের নিয়মিত প্রার্থনা করতে চেয়ে আবেদন করেছিল। হিন্দুদের আবেদনটি খারিজ করার জন্য মুসলমানদের করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে আদালত।

জ্ঞানভাপি মসজিদে দৈনিক প্রার্থনা করার অধিকার চেয়ে পাঁচজন হিন্দু নারীর একটি দল এই বছরের শুরুতে মামলাটি দায়ের করে। তারা বিশ্বাস করে, একসময় মসজিদটি একটি হিন্দু মন্দির ছিল। নারীরা যুক্তি দেন, ওই কাঠামোর ভিতরে “দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য দেবতাদের” সামনে তাদের পূজা করার অধিকার রয়েছে।

১৬৬৯ সালে মুসলিম মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব মসজিদটি নির্মাণ করেন। ওই এলাকায় একটি শিব মন্দির ধ্বংসের পরে, মসজিদটি ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায় এবং এর মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে সর্বশেষ সম্ভাব্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ১৪০ কোটি লোকের দেশ ভারতে ১৩ শতাংশ মুসলমান রয়েছে।

১৯৪৭ সালে ব্রিটেন থেকে ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে এই ধরনের অবকাঠামো নিয়ে দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এগুলি আরও নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে ওঠে৷

মসজিদ পরিচালনা কমিটি, যেখানে মুসলমানরা কমপক্ষে সাড়ে তিনশ’ বছর ধরে নামাজ পড়ে আসছে, তারা এই বছরের শুরুতে নারীদের আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে। কমিটি ১৯৯১ সালের উপাসনার স্থান আইনের উদ্ধৃতি দিয়েছে। ওই আইনে বলা আছে যে, জনগণের সকল উপাসনালয়ের ধর্মীয় অবস্থান অবশ্যই ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭-এর মতো বজায় রাখতে হবে।

আবেদনকারীরা বলেছেন, ওই স্থানে মসজিদের আগে একটি হিন্দু মন্দির ছিল এবং একটি দেবতার মূর্তি ও ধ্বংসাবশেষ এখনও সেখানে রয়েছে। হিন্দু আবেদনকারীদের আইনজীবী শিবম গৌড়ের মতে, বিচারক অজয় কৃষ্ণ বিশ্বেশা বলেছেন, মুসলিম পক্ষ আবেদন খারিজ করার জন্য মামলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আদালত ২২ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।

মসজিদ কমিটি বলেছে যে, তারা সোমবার জারি করা আদেশকে চ্যালেঞ্জ করতে উচ্চ আদালতে আবেদন করবে।

এর আগে জ্ঞানভাপি মসজিদের ভেতরে ‘শিবলিঙ্গ’ (ভগবান শিবের প্রতীক) পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে একটি পক্ষ। তবে মুসলিমরা এটিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। এ নিয়ে রাজ্যটিতে বর্তমানে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এনডিটির খবরে বলা হয়েছে, জ্ঞানভাপি মসজিদের ভেতরে ঠিক কোন স্থানে ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়া গেছে, তা নিয়ে বারাণসী প্রশাসনকে প্রশ্ন করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। ইস্যুটি নিয়ে মসজিদ কমিটির আবেদন করা পিটিশনের শুনানির সময় এ প্রশ্ন করেছেন আদালত।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *