Main Menu

দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগকারীদের ক্ষমা চাইতে হবে: ড. মোমেন

নিউজ ডেস্ক:
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগকারীদের ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু : এক দশকের প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির মাইলফলক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ড. মোমেন।

বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে পদ্মা সেতু আমাদের নিজস্ব অর্থায়ন ও সম্পদ দিয়ে নির্মিত হয়েছে।

সাত বছরের নির্মাণ কাজ শেষে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু গত শনিবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

ড. মোমেন গত এক দশকে বাংলাদেশ যে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাংলাদেশকে প্রধান ফসল উৎপাদনে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত করেছে, যাতে ১১ লাখ টন থেকে চারগুণ বেড়ে ৪৪ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। ব্যবসা-বান্ধব সরকার রপ্তানি আয় ৭/৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে।

যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়ে করোনাকালীন সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন মোমেন।

তিনি সিলেট ও বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার বন্যার্তদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের পুনরাবৃত্তির পর থেকে সরকার যে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে আমাদেরকে একটি স্বাধীন জাতি উপহার দিয়েছিলেন। ৫১ বছর পর তার স্বপ্নদ্রষ্টা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু উপহার দেন। যা বাংলাদেশের স্বনির্ভরতা ও আত্মমর্যাদার এক গৌরবময় প্রতীক এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার দিকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির একটি মাইলফলক।

হাইকমিশনার পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিদের রেকর্ড রেমিট্যান্স দেশে পাঠানোয় প্রশংসা করেন। সিলেট বিভাগসহ বাংলাদেশের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি গভীর সংহতি প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *