কৃমি সমস্যা? ওষুধ ছাড়াই কমবে কোন টোটকায়!
নিউজ ডেস্ক:
অনেকেই সরাসরি কৃমির ওষুধ খান। যদি ওষুধ ছাড়াই কৃমি কমাতে চান তবে কিছু খাবার নিয়ম করে খেতে পারেন। গ্রাম বাংলায় যখন ওষুধপত্র পাওয়া যেত না, তখন এই ধরনের ঘরোয়া টোটকাতে ভরসা করতেন মানুষ।
কৃমি এক প্রকারের পরজীবী প্রাণী। শিশুদের দেহে এই সমস্যা বেশি দেখা গেলেও যে কোনও বয়সেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত মলমূত্র, নখের ময়লা ইত্যাদির মাধ্যমেই কৃমি শরীরে প্রবেশ করে থাকে। খাবার মাধ্যমেও কৃমির সংক্রমণ হতে পারে।
যদি ওষুধ ছাড়াই কৃমি কমাতে চান তবে কিছু খাবার নিয়ম করে খেতে পারেন। গ্রাম বাংলায় যখন ওষুধপত্র পাওয়া যেত না। তখন এই ধরনের ঘরোয়া টোটকাতেই ভরসা করতেন মানুষ।
১। লবঙ্গ
লবঙ্গের জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। এক কাপ পানিতে তিন-চারটি লবঙ্গ ফুটিয়ে নিন। সেই পানি সারা দিন অল্প অল্প করে খান। লবঙ্গ দিয়ে ফোটানো পানি শুধু কৃমি নয়, কৃমির ডিমও নির্মূল করে বলে মনে করেন অনেকে।
২। নিমপাতা
কৃমি কমাতে তেতো খেতে বলেন অনেক প্রবীণ মানুষই। কয়েকটি নিমপাতা বেটে ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ নিমপাতা বাটা মিশিয়ে সেই পানিল খান। তবে যে পাত্রে পাতাবাটা রাখবেন, সেই পাত্রে যেন বাতাস না ঢুকতে পারে।
৩। কুমড়োর বীজ
কয়েকটি কুমড়োর বীজ হালকা করে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এ বার সম পরিমাণ পানি ও নারকেলের দুধের মিশ্রণের মধ্যে ভাজা কুমড়ো বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন। কৃমি তাড়ানোর অব্যর্থ ওষুধ।
৪। হলুদ
কাঁচা হলুদ বেটে রস করে নিন। এক চা-চামচ হলুদের রসে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। এটি প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান। আধ কাপ গরম পানিতে সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং লবণ মিশিয়েও খেতে পারেন। এক সপ্তাহ নিয়মিত খেলেই উপকার পাবেন।
Related News
দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করবেন যেভাবে
দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করবেন যেভাবে দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করার জন্য আপনাকে জটিলতা এবং অদক্ষতার ক্ষেত্রগুলোRead More
অমনোযোগ দূর করতে মেডিটেশন
অমনোযোগ দূর করতে মেডিটেশন প্রতিদিন মেডিটেশন করলে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়া অমনোযোগ দূরRead More