বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ বিষয়ে বিবৃতি ঢাকাস্থ ওমান দূতাবাসের
নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশি নাগরিকদের নতুন ভিসা প্রদান স্থগিত করার বিষয়ে ঢাকাস্থ ওমানের দূতাবাস জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ওমানে বাংলাদেশিদের ভিসা স্থগিতের সিদ্ধান্ত অস্থায়ী এবং অরাজনৈতিক।
রোববার (৫ নভেম্বর) ঢাকার ওমান দূতাবাসের বরাত এ খবর জানিয়েছে ওমানের সংবাদমাধ্যম মাস্কট ডেইলি।
দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্তটি সাময়িক প্রকৃতির। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাড়াতাড়ি পর্যালোচনা প্রক্রিয়াটি শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পর্যালোচনা প্রক্রিয়া শেষে নির্দেশিকা অনুসারে আবার ভিসা দেওয়া শুরু করবে। এতে আরও বলা হয়, প্রবাসী শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইনগুলোর আলোকে ওমানের কর্তৃপক্ষ ব্যাপক পর্যালোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাময়িক স্থগিতাদেশের কারণ হিসেবে দূতাবাস জানিয়েছে, বাজারে ক্রমবর্ধমান অবৈধ শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শ্রমিক এবং নিয়োগকারীর অধিকার সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে কিনা তা নিশ্চিত করা হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ওমান দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অবদানের প্রশংসা করে জানায়, ভিসা প্রদান স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রেও সমভাবে কার্যকর করা হয়েছে এবং সিদ্ধান্তটি সাময়িক পদক্ষেপ। ওমান কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতির নয়। এটি ওমানের শ্রম বাজারের চাহিদা ও স্থিতিশীলতা সামঞ্জস্যপূর্ণ করার একটি প্রয়াস।
বর্তমান শ্রম আইন অনুসারে শ্রমিক ও নিয়োগকর্তা উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে যাতে এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হয় এবং চলমান পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে পুনরায় ভিসা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা যায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ওমান বাংলাদেশের জন্য যে ভিসা স্থগিত করেছে, তা শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে। তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। কিন্তু খোলার আগে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভিসা পেয়েছেন তারা ওমানে যেতে পারবেন। দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি দেশকেও ভিসা স্থগিত করার মাস দুয়েক পরে খুলে দিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ওমানে বিদেশি শ্রমিকের অর্ধেক হলো বাংলাদেশি। যে কোনো বাজারে সীমাহীন চাহিদা থাকে না। যে চাহিদা নিয়ে কর্মীরা গেছেন তার কিছু ব্যত্যয় হয়েছে। ওখানে কিছু অপপ্রয়োগ হয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগীরা অপব্যবহার করেছে। ভবিষ্যতে যারা যাবেন তাদের জন্য বার্তা থাকবে অবশ্যই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে চাকরি নিশ্চিত করে যাবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে কূটনীতিকদের ভিসা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে ওমানের ভিসা স্থগিত প্রক্রিয়া থাকছে না জানিয়ে শাহরিয়ার বলেন, যদি কোনো ব্যবসায়ীর যেতে সমস্যা মনে হলে, তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
এদিকে ওমানে ভিসা স্থগিত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিষয়টি আকস্মিক। হঠাৎ করেই এ ঘোষণা এসেছে, দূতাবাসকেও আগে জানায়নি। তবে এসব ব্যাপারে আগেও অনেক দেশকে দিয়েছে, কদিন পরই ভিসা দেওয়া শুরু করবে বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবর রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে ওমান। আর এটি গত মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হয়েছে।
Related News
বাংলাদেশি নার্স নেবে সৌদি আরব: তথ্য পাঠানোর আহ্বান বোয়েসেল’র
সৌদি আরবে আফরাস ট্রেডিং এন্ড কন্ট্রাকটিং কোম্পানিতে ফিমেল নার্সিং স্পেশালিস্ট হিসেবে বাংলাদেশি নার্স নিয়োগ দেয়াRead More
“সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকবে”
“সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকবে” শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়াRead More