Main Menu

সুদের টাকা দান করলে সওয়াব হবে?

ধর্ম ডেস্ক:
দুনিয়াতে সাতটি ধ্বংসাত্মক মহাপাপ আছে। তন্মধ্যে অন্যতম হলো সুদ। রাসুলে আকরাম (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত থাকো। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, সেই সাতটি ধ্বংসাত্মক কাজ কী? তিনি বলেন, আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা; জাদু করা; অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা, যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন; সুদ খাওয়া; এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা; জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া; সতী মুমিন নারীদের অপবাদ দেওয়া।’ (বুখারি, হাদিস : ২৭৬৬)

সুদের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নবীজি (সা.) অভিশাপ দিয়েছেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, যে সাক্ষী থাকে এবং যে ব্যক্তি সুদের হিসাব-নিকাশ বা সুদের চুক্তিপত্র ইত্যাদি লিখে দেয় সবার প্রতি রাসুলুল্লাহ (সা.) লানত করেছেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১২০৬)

যেহেতু সুদ হারাম তাই একজন মুমিনের কর্তব্য হল, সুদ-ঘুষ থেকে সম্পূর্ণরূপে বেঁচে থাকা। সুদের টাকা দান করলে কখনো সওয়াব পাওয়া যাবে না। সুদের টাকায় সওয়াব আশা করা অমূলক।

সুদের টাকা বা এজাতীয় অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা নিজের কাজে বা দ্বীনী কোনও কাজে ব্যয় করা জায়েজ হবে না। তবে কেউ কখনো সুদের টাকা গ্রহণ করে থাকলে সুদ দাতার ঠিকানা জানা থাকলে বা সুদদাতাকে পাওয়া গেলে সুদের টাকা তাকে বা তার উত্তরাধিকারীদের মাঝে ফেরত দিয়ে দিতে হবে।

তবে একান্তই সুদদাতাকে পাওয়া না গেলে বা ফেরত দেওয়া সম্ভব না হলে টাকার মূল মালিককে সওয়াব পৌঁছানোর নিয়তে তা গরিবদেরকে দান করে দিতে হবে। দান করার সময় নিজের সওয়াবের নিয়ত করা যাবে না কোনওভাবে।

এছাড়াও সুদী টাকার মালিককে না পাওয়ার ক্ষেত্রে গরিব-মিসকীন বা জনহিতকর কাজে, যেমন- মসজিদ-মাদরাসার পায়খান,পেশাবখানা নির্মাণের কাজে ব্যয় করা যাবে। একইভাবে টিউবয়েল বসানো ও রাস্তাঘাট নির্মাণ ইত্যাদি কাজেও ব্যবহার করা যাবে। (কিয়াতুল মুফতী, ৭/৭০, নিজামুল ফাতাওয়া, ২/ ৪৩০, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া, ৫/১৩৬, আলমগীরী, ৫/৩৪২, আল–আশবাহ ওয়ান নাযায়ের, ১/১৭৫, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া, ২/২২২)






Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *