Main Menu

আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ‘বেকারত্ব বিমা’ বাধ্যতামূলক

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
প্রবাসী কর্মীদের কর্মসংস্থানের অনিচ্ছাকৃত ক্ষতি তথা ‘বেকারত্ব বিমা’ প্রকল্প চালু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে দেশটির সরকারি-বেসরকারি খাতে কর্মরত বিভিন্ন দেশের অভিবাসী কর্মচারী, কর্মকর্তাদের জন্য এ বিমাটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এর ফলে আমিরাতে থাকা অন্তত ১০ লাখ বাংলাদেশিকে করতে হবে ‘বেকারত্ব বীমা’ তথা ‘বেকারত্ব ইনস্যুরেন্স’। আগামী মাসের মধ্যে এই বীমা না করলে জরিমানা গুনতে হবে ৪০০ দিরহাম। একইসঙ্গে পড়তে হতে পারে নানা প্রশাসনিক জটিলতায়।

যেসব প্রবাসী কর্মীদের ভিসা লাইসেন্স বা কোম্পানিতে অর্থাৎ যাদের মাসিক বেতন ব্যাংকে আসে- তাদের এই ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক। যাদের ঘরের কিংবা ফার্মের ভিসা, ইনভেস্ট অথবা পার্টনার (লাইসেন্সের মালিক) তারা এ ইন্স্যুরেন্সের আওতাভুক্ত নয়।

বিমাটি মাসিক, ত্রৈমাসিক, ছয় মাস, এক বছর অথবা ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী সম্পূর্ণ দুই বছরের জন্য একসঙ্গে করা যাবে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এ বিমা নিবন্ধন করতে হবে। এ বিমা ছাড়া ভিসা নবায়ন করা যাবে না। এই বিমা সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে করতে হবে।

এই বিমা করার পর যাদের মেয়াদ এক বছর হবে, তারা অনিচ্ছাকৃত চাকরি হারালে তাদের বিমা কোম্পানির পক্ষ থেকে তিন মাসের (বেসিক) বেতন দেওয়া হবে। এতে তারা তিন মাসের মধ্যে নতুন চাকরি খুঁজে নিতে পারবেন এবং পরিবারের খরচ বহন করতে পারবেন।

এই বীমা দ্রুত করে নিতে প্রবাসীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবুজাফর। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা অতি দ্রুত বাংলাদেশি প্রবাসীদের এ বীমা করে নিতে অনুরোধ জানায়।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবি ও দুবাই কনস্যুলেটের মাধ্যমে আমিরাতের সাতটি প্রদেশে অবস্থারত প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশিকে এ বিষয়টি জানানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমরা আপনাদের মাধ্যমেও প্রবাসীদের এ ইনস্যুরেন্স সম্পর্কে অবহিত করে বলতে চাই, আগামী ৩০ জুনের আগে অবশ্যই এ ইনস্যুরেন্স করে নিতে হবে।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটি কোম্পানির ইনস্যুরেন্স নয়, এটি ব্যক্তিগত ইনস্যুরেন্স। সুতরাং নিজ উদ্যোগে প্রত্যেককে এটি সম্পন্ন করতে হবে।’

 






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *