Main Menu

১৭ দিনে রেমিট্যান্স ১২ হাজার কোটি টাকা

নিউজ ডেস্ক:
রমজান ও ঈদে কেনাকাটা বাড়ে। প্রবাসীরা এ সময় বেশি রেমিট্যান্স পাঠান।

এবার রমজান শুরুর আগেই এর লক্ষণ ফুটে উঠেছে। মার্চ মাসের ১৭ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১১৬ কোটি ৪১ লাখ ৮০ লাখ ডলার, যা টাকার অংকে (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে) ১২ হাজার কোটি টাকা।
রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আগের মাস ফেব্রুয়ারির ১৭ দিনে প্রবাসীরা ১০৫ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পাঠান। মার্চ মাসের ১৭ দিনে পাঠান ১১৬ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে মার্চে ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

আর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। টাকার অংকে যার পরিমাণ ১৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা।

প্রবাসী আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে আনতে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নেয় সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশে প্রবাসীদের যাওয়ার হারও বেড়েছে। প্রবাসী আয় বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো, বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর বিপরীতে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করা, প্রবাসী আয় পাঠানোদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, প্রবাসী আয় বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করা, অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।

সেবার বিনিময়ে দেশে প্রবাসী আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করার ব্যবস্থা করা হয়। ঘোষণা ছাড়াই সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ২০ হাজার মার্কিন ডলার দেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ এ সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এসব উদ্যোগের ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠানো বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৭ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ১৪ কোটি ৯১ লাখ ডলার বা ১ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৫২ লাখ ডলার বা ২৭০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছে। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯৮ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার ডলার বা ১০ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩.৭৪ মিলিয়ন ডলারের প্রবাসী আয়।

প্রবাসী আয় পাঠাতে একক ব্যাংক হিসেবে মার্চ মাসে যথারীতি ইসলামী ব্যাংকই এগিয়ে রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া যথারীতি কোনো প্রবাসী আয় আনতে পারেনি।-বাংলানিউজ






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *