Main Menu

ভূমিকম্পে মরদেহ উদ্ধার ৩৭ হাজার ছাড়াল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মরদেহ উদ্ধারের সংখ্যা ৩৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে তুরস্কে ৩১ হাজার ৬৪৩ জন ও সিরিয়ায় ৫ হাজার ৭‘৪ জন নিহত হয়েছে। জীবিত অথবা মৃত যাই হোক না কেন মানুষকে উদ্ধারে এখনো প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা।

ধারণা করা হচ্ছে, এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ চাপা পড়ে আছে। এছাড়া এতে আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ।

ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক মার্টিন গ্রিফিথস।

তিনি বলেন, এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। ফলে প্রকৃতপক্ষে কত মানুষ মারা গেছে তা চিন্তা করাও কঠিন। হতে পারে এই সংখ্যা দ্বিগুণ বা তারও বেশি।

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে চূড়ান্ত সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। সংস্থাটি বলেছে যে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। এখন তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ লোকের জরুরি খাদ্যের (গরম খাবারের) প্রয়োজন রয়েছে।

সিরিয়ার সরকার তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দেশের ধ্বংসাত্মক ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ এএফইডি জানিয়েছে, ছয় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ানতেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে ১৭০০ আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে

এদিকে তুরস্কের হাতাই প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সে টানা ১৮২ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিল।

গতকাল সোমবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের হাতাই প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে এক কিশোরকে বের করে আনছেন উদ্ধারকর্মীরা। ওই কিশোরকে স্ট্রেচারে শুইয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছিল। এ সময় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে কম্বল দিয়ে ওই কিশোরের শরীর ও মাথা ঢেকে রাখা হয়।

গত সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে হতাহত কিংবা জীবিতদের বের করে আনার জন্য উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *