Main Menu

অভিবাসীবিরোধী সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণে অর্থায়ন করবে না ইইউ

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
সীমান্তে অভিবাসী বিরোধী প্রাচীর তৈরিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থায়ন করবে না বলে ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্র বিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার ইলভা ইওহানসন। তবে বিভিন্ন দেশের সীমান্তে এমন বেড়া নির্মাণের বিরোধিতা করেননি তিনি।

অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে করণীয় ঠিক করতে গত ২৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার, সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনারইলভা ইওহানসন বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিবাসীদের আগমন রুখতে বেড়া তৈরিতে ভর্তুকি দেোয়ার কোন পরিকল্পনা করছে না। এর জন্য ইইউ বাজেটে কোনো অর্থ বরাদ্দ নেই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যদি দেয়াল বা বেড়ার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হয় তবে অন্যান্য খাতের জন্য কোনও অর্থ থাকবে না। এটা বলা খুব সহজ। কিন্তু আমাদের অতিরিক্ত বেশ কিছু খাতের জন্য অর্থের প্রয়োজন। ইইউ কাউন্সিল এবং সংসদ আমাকে যে বাজেট দিয়েছে সেটি আমার কাছে আছে।”

সীমান্তে বেড়ার পরিবর্তে, ইইউ বহিঃসীমান্তে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসকে অগ্রাধিকার দিতে চায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আন্তঃকার্যকারিতা (অভিবাসন এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থার) এবং ডিজিটাইলাইজেশনের সংস্কার প্রক্রিয়াকে আরো এগোতে চায় তারা। তবে ইইউ তহবিলের অর্থের অভাব হলেও বেশ কিছু সদস্য দেশ নিজ অর্থায়নে তাদের সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে প্রায় ১০ বছর ধরে একটি প্রাচীর বুলগেরিয়াকে তুরস্ক থেকে পৃথক করেছে। অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার গত সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব বুলগেরিয়ার এলহোভোর একটি আঞ্চলিক সীমান্ত পুলিশ সমন্বয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সফরের সময় তিনি তুরস্কের সঙ্গে সীমান্ত শক্তিশালী করতে চেয়ে বুলগেরিয়ার ২০০ কোটি ইউরো তহবিলের জন্য ইউরোপীয় কমিশনের কাছে তদ্বির করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

উল্লেখ্য,বিগত ২০২১ সালের অক্টোবরে ১২টি ইইউ দেশ – অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, গ্রিস, হাঙ্গেরি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র এবং স্লোভাকিয়া সম্মিলিতভাবে ব্রাসেলসকে এই ধরনের সীমান্ত বেড়া নির্মাণে অর্থায়ন করতে বলেছিল। তবে ইউরোপীয় কমিশন বারবার এ ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *