মিলানে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সাথে পুলিশের উত্তেজনা, সাহায্যের আহ্বান

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
ইতালির মিলান শহরে আশ্রয়ের আবেদন জানাতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে বিপুল বিদেশী। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের কর্মকাণ্ডে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বচসা উত্তেজনায় রুপ নেয়। সম্প্রতি বিদেশীদের বিক্ষোভ সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়েছে পুলিশের।
গোটা ইতালি থেকে অভিবাসীরা প্রতি সপ্তাহে পুলিশের দপ্তরে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে আসে। পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মিলানের পুলিশ সংগঠন শহরের সদর দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে।
মিলানের এসআইএলপি সিজিআইএল পুলিশ ইউনিয়নের প্রাদেশিক সেক্রেটারি পিয়েত্রো ব়ান্দাজ্জো সমালোচনা করে বলেন, ‘‘মিলানে পুলিশের অভিবাসন বিভাগের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার কোনো সমাধান করা হয়নি।’’
তার কথায়, ‘‘এই পরিস্থিতিতে কাজ করা যায় না৷ আগেও এখানকার সমস্যা সংগঠনের মাধ্য়মে তুলে ধরা হয়েছিল৷ মিলানের কেন্দ্রের সমস্যার কথা গণমাধ্যমেও জানানো হয়েছিল৷’’
গত সোমবার অফিসাররা লাইনে দাঁড়ানো জনতাকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে৷ পুলিশের সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য নথি জমা দিতে শত শত ব্যক্তি অপেক্ষা করছিলেন৷ তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয় গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৭০০ জন অভিবাসী অপেক্ষা করছিলেন৷ একটি ছোট দল কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর লাইন ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে। এরপর বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়৷
জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি
সংগঠনের নেতা ব়ান্দাজ্জো বলেন, ‘ইউনিয়ন জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে৷ অনেক দিন ধরে চলা এই পরিস্থিতির সমাধানে জরুরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন৷’
তার ভাষ্য, সবার তরফে প্রচেষ্টা প্রয়োজন৷ পুলিশ সদর দপ্তর, স্থানীয় এবং জাতীয় স্তরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপেরও দরকার৷ অভিবাসনের মতো জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করতে উর্দিধারী পুরুষ এবং নারীদের এভাবে একা ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়৷ কারণ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে।’
Related News

ইমরান খানের ব্যাপারে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মনোভাব কী?
বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক: মঙ্গলবারের সেই সন্ধ্যাটি ছিল আর যে কোন দিনের মতোই। এক পাকিস্তানি সেনা অফিসারেরRead More

বাংলাদেশি শিশুর লেখা চিঠির জবাবে যা বললেন চীনা প্রেসিডেন্ট
বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে লেখা চিঠির জবাব পেয়েছেন বাংলাদেশি শিশু আলিফা চীন।Read More