Main Menu

ওসমানী বিমানবন্দরে তদারকির নামে যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি

নিউজ ডেস্ক:
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণশুনানিতে উঠে এসেছে যাত্রী হয়রানির নানা চিত্র। এক যাত্রীর লাগেজ সবাই মিলে চেক করা এবং তদারকির নামে হয়রানির অভিযোগটি গণশুনানিতে প্রাধান্য পেয়েছে।

এ ছাড়া গুরুত্ব পেয়েছে যাত্রীদের সঙ্গে আরও ভালো ব্যবহারের বিষয়টি। পাশাপাশি বিমানের ভাড়া বৃদ্ধি ও আনসার সদস্যদের ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরেন শুনানিতে অংশগ্রহণকারীরা।

সোমবার যাত্রী হয়রানি লাঘবসহ আরও উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিমানবন্দরের কনফারেন্স হলে এই শুনানির আয়োজন করা হয়।

অভিযোগের ব্যাখ্যা দেন বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ। শুনানিতে সাংবাদিক মুহিত চৌধুরী বলেন, বিমানের অভ্যন্তরীণ ভাড়া হঠাৎ অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিন হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকা করা যেতে পারে। কিন্তু এ ভাড়া কোনোভাবেই ১০ হাজার টাকা হতে পারে না।

সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওসমানী বিমানবন্দরে অ্যাপ্রোচিংয়ে সমস্যা আছে। তিনি এক যাত্রীর লাগেজ কাটার অভিযোগ পেয়েছিলেন। ওই যাত্রী কোনো প্রতিকার পাননি। এ ছাড়া বিমানযাত্রীকে একের পর এক প্রশ্ন করে বিব্রত করা হয়।

যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ূয়া ছেলের এক অভিভাবক বলেন, যাত্রী হওয়ার পরও নিরাপত্তারক্ষী তাদের আটকে রাখে। এটা এক ধরনের হয়রানি। আনসার সদস্যরা টাকার আশায় যাত্রীদের হয়রানি করে। বন্দর থেকে বের হওয়ার পর লাগেজ নিয়ে টানাহেঁচড়াও করা হয়।

অভিযোগ শুনানি শেষে বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, বিমানবন্দরে আগের মতো এখন আর সমস্যা নেই। বিমান ল্যান্ডিং থেকে বেল্টের যে দূরত্ব, সেখানে লাগেজ কাটার মতো সুযোগ নেই। মালপত্র যখন বেল্টে আসে, তখন এপিবিএন সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। সেই সঙ্গে গোয়েন্দা তদারকিও করা হয়।

তিনি বলেন, যাত্রীসেবা আরও নিশ্চিত করতে তারা চেষ্টা করবেন। তিনি বিমান ভাড়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের লিখিতভাবে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *