Main Menu

অভিবাসীদের বড়সড় সাজা দিল মরক্কো, মানবাধিকার সংস্থার নিন্দা

নিউজ ডেস্ক:
অবৈধ প্রবেশ এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে কয়েক ডজন অভিবাসীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মরক্কো। গত ২৪ জুন সকালে প্রায় দুই হাজার অনিয়মিত অভিবাসীর একটি বিশাল দল স্প্যানিশ ছিটমহল মেলিলায় প্রবেশের চেষ্টা করেন৷

সেসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে অভিবাসীদের সংঘর্ষ বাধলে ২৩ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হন। সেই ঘটনার জন্য স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী মানবপাচারে যুক্ত ‘মাফিয়াদের’ অভিযুক্ত করেছিলেন৷ আর মানবাধিকার সংগঠনগুলো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিল৷

মরক্কো মেলিলার ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছে জানালেও অ্যামনেস্টি এবং স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের হিসেবে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৭৷

অভিবাসীদের সাজা দেয়ার ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে আখ্যায়িত করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

মরোক্কান অ্যাসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটসের সদস্য সৌদ লাজরেগ শনিবার অভিবাসীদের বিচারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেছেন। এতে তিনি বলেছেন, অভিবাসীদের সাজাগুলি অত্যন্ত কঠোর এবং অন্যায্য হয়েছে।

মেলিলা এবং সিউটার বোন ছিটমহল দীর্ঘদিন ধরে যারা দারিদ্র্য এবং ক্ষুধা থেকে বাঁচতে মরিয়া তাদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ছিটমহলে পরিণত হয়েছে।

এর আগে ঘটনার পর মরক্কো কয়েক ডজন অভিবাসীকে অবৈধ প্রবেশ এবং অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাজা দিয়েছিল। নাদোরের শীর্ষ আদালত আপিলের ক্ষেত্রে বড়সড় জরিমানাও জারি করে।

এএমডিএইচ অধিকার গোষ্ঠীর নাডোর প্রধান ওমর নাজি বলেন, ‘মরক্কো ইউরোপীয় অভিবাসন নীতির জন্য পুলিশ হিসাবে কাজ করছে। কর্তৃপক্ষের ‌‘এই আশ্রয়প্রার্থীদের গ্রেপ্তার না করে রক্ষা করা উচিত ছিল।’

আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে, অভিবাসীদের আশ্রয় দাবি করার অধিকার রয়েছে এবং সম্ভাব্য আশ্রয়প্রার্থীরা যেখানে বিপদে পড়তে পারেন, সেখানে ফেরত পাঠানো নিষিদ্ধ।

এদিকে স্প্যানিশ ন্যায়পাল বলেন, কর্তৃপক্ষ অভিবাসী অধিকার লঙ্ঘন করেছে। সাম্প্রতিক রিপোর্টে স্পেনের ন্যায়পাল বলেন, জুন মাসে মরক্কো থেকে কয়েকশ অভিবাসীর প্রবেশের চেষ্টার প্রাথমিক তদন্তে কর্তৃপক্ষ মেলিলা সীমান্তে কমপক্ষে ৪৭০ জন অভিবাসীকে এমনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনি বিধান মেনে করা হয়নি।

তিনি বলেন, স্পেন অভিবাসীদের আইনি অধিকারকে সম্মান করতে ব্যর্থ হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে, অভিবাসীদের আশ্রয় দাবি করার অধিকার রয়েছে এবং সম্ভাব্য আশ্রয়প্রার্থীরা যেখানে বিপদে পড়তে পারে সেখানে তাদের ফেরত পাঠানো নিষিদ্ধ।

স্পেনের ন্যায়পাল অ্যাঞ্জেল গ্যাবিলোন্দো বলেন, স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ সেদিন ‘৪৭০ জনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি অধিকার বিবেচনা না করেই সীমান্তে প্রবেশাধিকারে বাধা দিয়েছিল।’

তিনি বলেন, স্পেনের সাংবিধানিক আদালত রায় দিয়েছে যে সে দেশের সীমান্তে প্রবেশের যে কোনও প্রত্যাখ্যান নির্দিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য। তবে সম্পূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য নয়। পুরো বিষয়টা আদালতের তত্ত্বাবধানে করা উচিত, যা সেদিন করা হয়নি। গ্যাবিলোন্দো মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *