Main Menu

পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার দাবি কুয়েত প্রবাসীদের

পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার দাবি কুয়েত প্রবাসীদের
নিউজ ডেস্ক:
পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছরের পরির্বতে ১০ বছর করার দাবি জানিয়ে আসছেন কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ নিয়ে ভোগান্তির অবসান চান তারা।

দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় প্রায় আড়াই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। কুয়েতের কানুন অনুসারে দেশটিতে শ্রমিকদের আকামা নবায়নে পাসপোর্টের মেয়াদ এক বছর পূর্ণ থাকতে হয়। বর্তমানে ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্টে চার বছর আকামা লাগাতে পারেন।

এদিকে প্রবাসীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে দ্রুত পাসপোর্ট সেবা দিতে আঞ্চলিক শাখা অফিস হ্যাপি সেন্টার চালু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। করোনাকালে পাসপোর্ট নবায়নে তিন মাস সময় লাগলেও এখন সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পরও প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়ন করতে আড়াই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

প্রবাসীদের কুয়েতে আসার পর প্রথমে মালিকের কাছে পাসপোর্ট জমা দিতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ে দেশে ছুটিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে অথবা নবায়ন করতে শ্রমিকদের হাতে পাসপোর্ট দেওয়া হয়। যার কারণে অনেক প্রবাসী পাসপোর্টের মেয়াদ ভুলে যায়। সময়মতো আকামা নবায়ন করতে না পারলে কিংবা আকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে প্রতিদিন দুই দিনার করে জরিমানা গুনতে হয়। যার ফলে সর্বোচ্চ ৬০০ কুয়েতি দিনার জরিমানা আসে। প্রবাসীদের ভোগান্তি কমাতে জরুরি ভিত্তিতে অনেক সময় হাতে লিখে বাড়িয়ে দেওয়া হয় পাসপোর্টের মেয়াদ।

অন্যদিকে স্থানীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করতে খরচ হয় অতিরিক্ত অর্থ, শ্রম ও সময়। আকামা নবায়নে পাসপোর্টের দীর্ঘ সূত্রতার ফলে সৃষ্ট ভোগান্তি ও জরিমানা থেকে পরিত্রাণ পেতে আগের মতো এক মাস থেকে দেড় মাসের পাসপোর্ট পেতে চান এবং পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করা দাবি জানান কুয়েতে বাংলাদেশি প্রবাসীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রবাসী বলেন, পাসপোর্ট মালিকের কাছে থাকায় পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ কবে জানা ছিল না। মালিক আকামা লাগাতে পারেনি, আমাকে বলল তাড়াতাড়ি পাসপোর্ট নবায়ন করে নিয়ে আসতে। পাসপোর্ট নবায়ন করতে দিলে নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার সময় দিয়েছে আড়াই মাস। জরুরি প্রয়োজন বলায় পুরাতন পাসপোর্টে হাতে লিখে মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে দূতাবাস। সেটা সত্যায়িত করতে লেগেছে বাড়তি টাকা।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আশিকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের নতুন নির্দেশনা অনুসারে এম আরপি পাসপোর্ট মেয়াদ পাঁচ বছর থাকবে। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছর ও ১০ বছর দুইটাই থাকবে। যার যেটা প্রয়োজন করতে পারবে। শিগগিরই ই-পাসপোর্ট চালু হলে প্রবাসীদের ১০ বছরের আশা পূরণ হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *