Main Menu

নাইজারের মরুভূমিতে প্রাণে বাঁচলো আটকাপড়া ৫০ অভিবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লিবিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ নাইজারের মরুভূমি থেকে নারী ও শিশুসহ ৫০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। গত সপ্তাহে মরুভূমিতে আটকাপড়ার এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার না হলে এসব অভিবাসীকে একটি সম্ভাব্য মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পড়তে হতো। কারণ তাদের পক্ষে আর যাত্রা চালিয়ে যাওয়ার উপায় ছিল না।

আইওএম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তারা গত সপ্তাহে পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আসা ৫০ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে যারা লিবিয়া সীমান্তের কাছে নাইজারের উত্তরে অবস্থিত মরুভূমিতে অসহায় অবস্থায় আটকা পড়ে ছিল। ৫০ অভিবাসীর মধ্যে দশ শিশু, তিনজন নারী এবং ৩৭ জন পুরুষকে নাইজারের মরুভূমির ডিরকো নামক একটি অঞ্চলে অরক্ষিত এবং দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৯ জন নাইজেরীয় এবং একজন ক্যামেরুনীয় রয়েছে। উদ্ধারের পর তাদেরকে জাতিসংঘের একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে নাইজারের আগাদেজে শহরে নিয়ে যাওয়া হয়ে। যেখানে অভিবাসীদের জন্য আইওমের একটি বড় অভ্যর্থনা কেন্দ্র রয়েছে।

অত্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়ার সাহারা মরুভূমির লিবিয়া অংশ থেকে প্রায়শই অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয়।

আইওএম নিয়ামে শাখার যোগাযোগ কর্মকর্তা আইসাতু সাই বার্তা সংস্থা এএফপিকে ১৩ সেপ্টেম্বর জানান, “উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে অধিকাংশই লিবিয়া থেকে ফিরে আসছিলেন। আবার কেউ কেউ লিবিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে তাদের পক্ষে আর যাত্রা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। সবশেষে অভিবাসীরা ফিরে আসতে আমাদের সাহায্য চাইলে আমরা সহায়তা প্রদান করি।”

উল্লেখ্য, নাইজারের আগাদেজ অঞ্চলে অবস্থিত ডিরকো এলাকাটিতে মানবপাচার চক্রের একটি বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে। অভিবাসী চোরাচালানের জন্য এই অঞ্চল একটি অপরিহার্য ট্রানজিট পয়েন্ট এবং প্রতিবেশী লিবিয়ায় প্রবেশের উদ্দেশ্যে শেষ যাত্রাবিরতির করা জায়গাগুলোর একটি।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, অভিবাসী বহনকারী যানবাহনগুলি মরুভূমিতে ভেঙে পড়া বা নির্দিষ্ট চেকপয়েন্ট বা সামরিক টহলের ভয়ে পাচারকারীরা যাত্রীদের মাঝ মরুভূমিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়। অনেক অভিবাসী পানিশূন্যতায়ও মারা যায়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *