Main Menu

বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে নাগরিকত্ব আইন সহজ করছে জার্মানি

ইউরোপ ব্যুরো:

শ্রমবাজারে শ্রমিক-কর্মীর অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জার্মানির অর্থনীতি। পড়ন্ত জন্মহারের কারণে দেশীয় জনসংখ্যাও বাড়ছে না। বিদেশ থেকে অভিবাসী আনা ছাড়া কোনো উপায় নেই দেশটির। দক্ষ জনশক্তির তীব্র সংকটকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলো থেকে আসা দক্ষ অভিবাসীদের আকৃষ্ট করতে চায় জার্মানি। এ লক্ষ্যে বুধবার নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছে জার্মান কর্তৃপক্ষ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে আসা উচ্চ শিক্ষিত ও দক্ষ অভিবাসীদের জার্মানিতে স্থায়ী করতে অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজতর করতে চায় জার্মান সরকার। এ লক্ষ্যে বুধবার ৮ সেপ্টেম্বর বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা রয়েছে।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জার্মানির দোকান, রেস্তোরাঁ, পানশালা ও হোটেল মালিকদের মরিয়া হয়ে কর্মী খুঁজতে দেখা যাচ্ছে। জার্মান শ্রমবাজারে দেখা দিয়েছে প্রকট কর্মী সংকট। আপাতত এই সংকট কাটাতে জার্মানির অভ্যন্তরীণ জনশক্তিকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করছে বার্লিন কর্তৃপক্ষ। বিশেষ কর, নারীদের কাজে সুবিধা করে দিতে কর্মজীবি মায়েদের শিশুদের দেখাশোনা করতে ডে-কেয়ার কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।এসব উদ্যোগ নেয়ার পরও শ্রম বাজারে কর্মীর চাহিদা মিটছে না।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনের চেষ্টা

বিদেশি কর্মীদের আকৃস্ট করতে নতুন প্রস্তাবনায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে বিদেশী ডিগ্রীর স্বীকৃতি বা জার্মান ভাষায় দক্ষতার শর্ত কমিয়ে এনে ইইউ’র বাইরে থেকে আসা অভিবাসনকে উন্নীত করতে চায় বার্লিন।

এছাড়া, একটি পয়েন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক অ-ইউরোপীয় অভিবাসীকে জার্মানিতে আসতে এবং কাজ করার অনুমতি দেয়ার কথাও প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

পাশাপাশি, অভিবাসীদের জার্মান নাগরিকত্ব পেতে সময়সীমার নিয়মও কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। জার্মান সমাজে ভালোভাবে ‘ইন্টিগ্রেশন’ হতে সক্ষম হওয়া অভিবাসীদের আট বছরের বদলে পাঁচ বছর বৈধভাব বসবাসের পর নাগরিকত্ব আবেদনের সুযোগ এবং দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা দেওয়ার কথা চিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার জার্মান সরকার উপস্থাপিত নথিতে, ২০২৬ সালের মধ্যে জার্মান শ্রম বাজারে ২ লাখ ৪০ হাজার অতিরিক্ত কর্মীর প্রয়োজন হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তবে এই সংখ্যাটি গত বছরের তুলনায় অনেক কম। মূলত অনেক ইউক্রেনীয় শরণার্থীর আগমন এবং অর্থনীতির সাময়িক মন্দা পরিস্থিতির কারণে এই পার্থক্য হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কর্মী সংকট কাটাতে নতুন এক অভিবাসন আইনের অভিবাসন সহজ করার উদ্যোগ নিচ্ছে জার্মানি। এরই মধ্যে শ্রমিক-কর্মীর অভাব মেটাতে প্রস্তাবিত সেই আইনের রূপরেখা তুলে ধরেছেন জার্মান শ্রমমন্ত্রী৷

চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং জার্মানিতে বসবাসরত মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে সরকার প্রস্তাবিত অভিবাসন আইনে ‘অপার্চুনিটি কার্ড’ নামের এক ব্যবস্থাও রাখতে চায়৷ এর আওতায় প্রতি বছর প্রতিটি ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী অভিবাসীদের সংখ্যা স্থির করা হবে৷ অর্থাৎ একটা ঊর্দ্ধসীমার পর আর লোক আনা যাবে না৷ যাঁরা আসবেন, তাঁদের চাকুরি বা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপার্জন করতে হবে, সরকারের উপর আর্থিক নির্ভরতা চলবে না৷






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *