Main Menu

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সিংহাসনে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আসীন ও বিশ্বের প্রবীণতম রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেছেন। ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেস বলেছে, রানি বিকেলে (স্থানীয় সময়) বালমোরাল ক্যাসলে শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছেন। রাজা এবং রাজপত্নী আজ রাতে ব্যালমোরালে থাকবেন ও আগামীকাল লন্ডনে ফিরে আসবেন।

তার মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে, প্রাক্তন প্রিন্স অব ওয়েলস, চার্লস এখন নতুন রাজা হবেন এবং ১৪টি কমনওয়েলথ রাষ্ট্রের প্রধান হিসাবে দেশের শোক-পালনে নেতৃত্ব দেবেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রানির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন৷

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এলিজাবেথ রানির চেয়েও বেশি ছিলেন, তিনি একটি যুগের সংজ্ঞা।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বের জন্য একটি দুঃখের দিন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্তী শাজবাজ শরীফ বলেছেন, কমনওয়েলথ সকল দেশের মতো আমরাও দুঃখিত।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বিশ্বের সম্মান এবং ভালোবাসা পেয়েছেন এলিজাবেথ।

এর আগে সকালে অসুস্থ বোধ করার পর থেকেই চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয় এলিজাবেথকে। বালমোরাল প্রাসাদে রানির চিকিৎসক ও কর্মচারীরা সর্বক্ষণ তার খেয়াল রাখছিলেন।

চিকিৎসকরা রানিকে তাদের তত্ত্বাবধানে রাখার পর তার সব সন্তান বালমোরালে চলে যান। তার নাতি প্রিন্স উইলিয়াম এখন সেখানে রয়েছেন। আরেক নাতি প্রিন্স হ্যারিও প্রাসাদের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনের সিংহাসনে আসীন ছিলেন ৭০ বছর ধরে। চলতি বছরই তার সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর উদযাপিত হয়েছে। গত জুলাই মাস থেকে স্কটল্যান্ডের বারমোরাল প্রাসাদে অবস্থান করছিলেন তিনি।

রানিকে সর্বশেষ প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল মঙ্গলবার। সেদিন বালমোরাল প্রাসাদে রানির সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর ‍দায়িত্ব গ্রহণ করেন লিজ ট্রাস। সেই সঙ্গে নতুন সরকার গঠনের অনুমতিও নেন।

রানি ১৯৫২ সালে সিংহাসনে আসীন হন এবং তার জীবদ্দশায় বিশাল সামাজিক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছিলেন।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে। দীর্ঘতম এ শাসকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাকিংহাম প্যালেসের বাইরের প্রাঙ্গণ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এর আগে মধ্য লন্ডনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শ্রদ্ধা জানাতে বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে জড়ো হতে থাকে সাধারণ মানুষ। সড়কে দাঁড়িয়ে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে দেখা দেখা যায় অনেককে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *