Main Menu

ইইউ পুলিশের অভিযানে ৮ মানব পাচারকারী আটক

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
ইউরোপীয় পুলিশের একটি অভিযানে ‘কিংপিন্স’ নামে পরিচিত আট শীর্ষ মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে ইউরোপ মহাদেশে প্রায় দশ হাজার অভিবাসীকে পাচারে জড়িত গোপন নেটওয়ার্কটিকে ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে দাবি পুলিশের৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুলিশ সংস্থা হিসেবে পরিচিত (ইউরোপোল) শুক্রবার ৩ জুন জানিয়েছে, ‘ইউরোপোলের জার্মান নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স আটজন ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হিসেবে অভিযুক্ত শীর্ষ মানব পাচারকারীকে আটক করেছে৷ পাশাপাশি অস্ট্রিয়া থেকে তাদের আরও ১২৬ জন সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি৷’

নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক ইইউ’র এই সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি ইউরোপোলের সর্বোচ্চ নজরদারিতে থাকা অভিযানের একটি৷ অভিযুক্ত পাচারচক্রের কাছে সিরীয় নাগরিকদের পাচারের উৎস, তাদের ট্রানজিট এবং তাদের গন্তব্য দেশের মধ্যে বৈশ্বিক সংযোগ ছিল৷’

অভিযানের সমন্বয়কারী এই সংস্থাটির মতে, ‘এই চক্রটি কমপক্ষে ১০ হাজার ব্যক্তিকে ইউরোপ মহাদেশে পাচার করেছে৷ পাচার হওয়া লোকেদের বেশিরভাগ আফগান, পাকিস্তানি এবং সিরীয় অভিবাসী৷’

জার্মানির নেতৃত্বে যৌথ অভিযান
গত বছরের আগস্ট মানে শুরু হওয়া জার্মানির নেতৃত্বাধীন এই যৌথ অভিযানে অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, সার্বিয়া এবং ডাচ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও জড়িত ছিল৷ আর পুরো অভিযানটি ইউরোপোলের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়৷

ইউরোপোলের মতে, অভিযানে এখন পর্যন্ত ৯১৬ টি ‘চোরাচালানের ঘটনা’ সনাক্ত করা হয়েছে৷ আর ১৫১ টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা সমমানের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে৷

গত বুধবার, ফ্রান্স ও জার্মান পুলিশ সর্বোচ্চ নজরদারিতে থাকা এক ডজন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৮০ হাজার ডলারেরও বেশি নগদ অর্থ জব্দ করেছে৷

শুক্রবার ৩ জুন ইউরোপোল প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘‘সন্দেহভাজন পাচারচক্রটি অভিবাসীদের তুরস্ক থেকে পশ্চিম বলকান অঞ্চল এবং রোমানিয়া ও হাঙ্গেরি হয়ে অস্ট্রিয়া, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসে পাচার করত৷ এসব বড় আকারের আন্তঃসীমান্ত পাচার কাজে চক্রটি বড় লরি, কার্গো ভ্যান এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করত৷’’

ইউরোপল জানিয়েছে, অভিবাসীদের ইউরোপের অভ্যন্তরীণ সীমানা অতিক্রম করার জন্য জনপ্রতি চার লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতে হয়েছে৷

উল্লেখ্য- মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে থেকে আসা এসব অভিবাসীরা অত্যন্ত দরিদ্র এবং প্রায়শই নিজ দেশে তারা নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকেন৷






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *