Main Menu

‘বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক খাতে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে‘

নিউজ ডেস্ক:
বেসরকারি খাতে উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূত রুশনারা আলি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক খাতে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে, আর অগ্রগতির এই ধারা অব্যহত রাখার জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় অত্যন্ত প্রয়োজন।’

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ভবনে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের এক দ্বিপাক্ষিক সভায় এসব কথা বলেন রুশনারা আলী। এসময় তিনি যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, বাংলাদেশের বেসরাকারি খাত অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তারা অর্থনীতিকে সম্মুখ সারির নেতৃত্ব দিচ্ছে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও আর্থিক খাতের মতো সেবা খাতগুলোতে যুক্তরাজ্য শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিল্প পরিকল্পনা ও দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য একসাথে কাজ করতে পারে।’তিনি বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য চট্টগ্রামের মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল একটি ভাল স্থান এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের সেখানে বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪.১১ বিলিয়ন। বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের নেট এফডিআই স্টক ছিল প্রায় ২.৫৩ মার্কিন ডলার এবং যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানী স্থান এবং ভবিষ্যতে এই রপ্তানির পরিমান আরো বাড়বে।

তিনি ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ, তৈরি পোশাক, অ্যাগ্রো প্রসেসিং, চামড়া ও জুতা, হালকা প্রকৌশল এবং দক্ষতা উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি ও কোটা সুবিধা পাবে। কিন্তু তিনি ২০২৯ সালের পরও বাংলাদেশের জন্য এই সুবিধা অব্যহত রাখার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, রুলস অব অরিজিন রিকোয়ারমেন্ট সুবিধা সহজ ও বর্ধিত করা যেতে পারে। এছাড়াও টেকনিক্যাল ব্যারিয়ার্স টু ট্রেন্ড (টিবিটি) যুক্তিসঙ্গতভাবে হ্রাস করা উচিৎ।’

ঢাকা চেম্বার সভাপতি রিজওয়ানা রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যান্যের মাঝে অংশ নেন বিজিএমইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরান আলি, এসবিকে টেক ভেনচারের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, উইনাইটেড গ্রুপের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন হাসান রশিদ এবং অ্যাপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।

অ্যাপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, মানসম্মত ক্রেতা আকর্ষণের জন্য বাংলাদেশের উচিত শিল্প পণ্যেও মান আরো উন্নত করা। তিনি বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল, তৈরি পোশাক, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানান।

এসবিকে টেক ভেঞ্চারের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া কবিশ কবির বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং ইকো-সিস্টেমে বিনিয়োগ করতে পারে। বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরান আলি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত এখন কম্পøায়েন্স ও বিশ্বমানের পন্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে খুবই উপযুক্ত।
ইউনাইটেড গ্রুপের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুদ্দিন হাসান রশিদ বলেন, আমরা এখনো দক্ষ সেবিকা তৈরিতে পিছিয়ে আছি।

এ খাতে যুক্তরাজ্য আমাদের সহায়তা করতে পারে। সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরমান হক ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোয়ার হোসেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *