Main Menu

কবরস্থান থেকে তোলা আবর্জনায় মিলছে মাথার খুলি, দেহাবশেষ

নিউজ ডেস্ক:
সিলেট বিভাগের সর্ববৃহৎ ও ৬শত বছরের পুরনো গোরস্তান হযরত মানিকপীর (রাহ.) নগর গোরস্তানে গত ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে উন্নয়ন কাজ শুরু করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। প্রায় ৩ বছর ধরে চলছে কাজ। দীর্ঘদিন ধরে কাজ শেষ না হওয়াতে এক নোংরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে । সবমিলিয়ে মানিকপীর টিলা এলাকার অবস্থা হ-য-ব-র-ল ।

অপরিকল্পিত ও অপবিত্রতার সাথে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে কাজ। এক্সেভেটরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে নগরবাসীর প্রিয়জনদের পরম শ্রদ্ধার শেষ ঠিকানা। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে গোটা সিলেট।

 

মানুষের আবেগ-অনুভূতিকে মূল্য না দিয়ে সিসিকের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। গেল শুক্রবার মধ্যরাতের থেকে সিলেটসহ দেশ-বিদেশে বসবাসরত সিলেটের মানুষজন এসব ছবি ও এক্সেভেটর দিয়ে কাজ চালানোর ভিডিও শেয়ার করছেন।

এরআগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক্সেভেটর দিয়ে কবরস্থান ড্রেসিং ও টিলাকাটার সময় সময় আপত্তি জানান কাজীটুলা, উত্তর কাজীটুলা, মীরবক্সটুলা, কুমারপাড়া, সওদাগরটুলা, চারাদিঘীরপাড়, হাজারীবাগ, শাহী ঈদগাহ, উঁচাসড়ক, রায়নগরসহ নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাসিন্দারা। তারা সনাতন পদ্ধতি শ্রমিক দিয়ে পবিত্রতার সাথে সংস্কার কাজ, কবর পরিচর্যার কাজ করার দাবি জানান।

দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট নগরভবন কর্তৃপক্ষ এক্সেভেটরটি সামনের দিক থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় টিলার ভিতরের দিকে। ভিতর দিকের সম্পূর্ণ কাজ চালানো হয় এক্সেভেটর দিয়েই।

 

স্থানীয় বাসিন্দা তারেক আহমদ চৌধুরী ও মিসবাহ উদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, গত প্রায় ৬-৭ মাস ধরে পুনরায় এক্সেভেটর দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। আর এতে ফের ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে মানুষের কবর। উঠে আসছে মাথার খুলি, হাড়গোড়, দাঁতের কপাটসহ দেহাবশেষ এবং কবরের বাঁশ, ছাটাই, কাফনের কাপড়ও। টিলা এলাকায় জিয়ারতে গেলেই দেখা যাচ্ছে এসব দৃশ্য।

শুক্রবারও বাদ জুম্মা সরেজমিনে দেখা গেছে এক্সেভেটর দিয়ে টিলার পশ্চিমাংশে কাজ চালানো হচ্ছে। এসময় বেশ কয়েকজায়গায় পাওয়া গেছে মৃত মানুষের দেহাবশেষ। যার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব দেখে মানুষ তীব্র ক্ষোভ ও জানাচ্ছেন।

এছাড়া রাসেল আহমদ, মিনহাজ উদ্দিন জানান প্রায় বছর খানেক আগে মেয়র আরিফুল হক চোধুরী গণঅবস্থান কর্মসূচিতে কথা দিয়েছিলেন কবরের উপরে রাস্তা বা পার্কিং নির্মাণ করা হবে না। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি। তিনি বি-ব্লকে কবরের উপরেই রাস্তা নির্মাণ করেছেন। যা একটা সময় পার্কিং হিসেবেই ব্যবহার হবে। আমরা অবিলম্বে এই রাস্তা সরানোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় সিলেট নগরবাসীকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলা হবে। প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাবো।






Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *