অসুস্থ মালদ্বীপ প্রবাসীর পাশে দাঁড়ালেন দুই বাংলাদেশি
নিউজ ডেস্ক:
মালদ্বীপে ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রবাসী বাংলাদেশি সাইফুল ইসলামের পাশে দাড়িয়েছেন দুই বাংলাদেশি। তারা হচ্ছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ি Dhaka Traders-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বাবুল হোসেন এবং FourL কোম্পানির ম্যনেজিং ডিরেক্টর হাদিউল ইসলাম।
জানা গেছে, পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ২০১৬ সালে মালদ্বীপে আসেন সাইফুল ইসলাম। এসেই কুলুধুফুশী আইল্যান্ডের একটি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন।
মালদ্বীপে আসার তিন বছর অতিবাহিত হলে প্রথমবারের মতো দেশে যান সাইফুল ইসলাম। কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি উপজেলার শাহাজানপুর গ্রামের পাশুমিয়ার তৃতীয় পুত্র সাইফুলের পরিবারে বর্তমানে স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
পরে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে আবারও কর্মস্থলে ফিরেন। তবে ২০২০ সালে করোনাকালীন অবস্থায় হুট করে সাইফুল ইসলাম যে কোম্পানিতে কাজ করতেন সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম অর্থ কষ্টে পড়েন সাইফুল।
এভাবে বছরখানেক কেটে যায় কিন্তু দেশে ছুটিতে যাওয়া হয় না তার। একদিকে অবৈধ অন্যদিকে চলে কষ্টের জীবন। অবৈধ হওয়াতে মাসিক কোনো বেতন না পাওয়ায় দৈনিক চুক্তিতে মাঝে মাঝে কাজ করতে হয় সাইফুল ইসলামকে।
গত তিন চার বছর ধরে মালদ্বীপে তার বৈধ ভিসা না থাকায় লুকিয়ে কাজ করে আসছিলেন। এমন বিপদের মধ্যেই বড় বিপদে পড়েন তিনি। গত ছয় মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হলে কুলুধুফুশী আইল্যান্ডের হাসপাতলে ভর্তি করানো হয় তাকে। হাসপাতালে তার প্রাথমিক চিকিৎসা হয় এবং তার পেটের সমস্যা থাকাতে, চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী পেটের অপারেশন করা হয় কিন্তু পেটের সমস্যা সমাধান না হওয়াতে কুলুধুফুশী আইল্যান্ডের চিকিৎসক তাকে দ্বীপরাষ্ট্রের রাজধানী মালের আইজিএম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মালদ্বীপের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সমস্ত ট্রিটমেন্ট শেষে বলা হয় তার পেটের সমস্যা ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে।
পর তার অসহায়ত্বের খবর বাংলাদেশিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে অনেক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
এদিকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেশে যাওয়ার জন্য গত মাসে US-Bangla বিমানের টিকিটও নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন সাইফুল ইসলাম। পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকার কারণে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। টিকিট আর পাসপোর্ট নিয়ে যখন জটিলতায় ভুগছেন তখন তার পাশে সাহায্যের হাত বাড়ান বিশিষ্ট ব্যবসায়িক Dhaka Traders-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বাবুল হোসেন এবং FourL কোম্পানির ম্যনেজিং ডিরেক্টর হাদিউল ইসলাম।
এই দুই বিশিষ্ট ব্যক্তির অর্থনৈতিক ও সার্বিক প্রচেষ্টায় সাইফুল ইসলামের মালদ্বীপের ইমিগ্রেশনসহ, টিকিট এবং মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাহায্যে দ্রুত ট্রাভেলিং পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সাইফুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মালদ্বীপের আইজিএম হাসপাতালে আছেন। মঙ্গলবার US-Bangla এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মালদ্বীপ ছেড়ে যাবেন তিনি।
Related News
মিশিগানে সৈয়দপুর কমিউনিটির আত্মপ্রকাশ, ১১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা
মিশিগানে সৈয়দপুর কমিউনিটির আত্মপ্রকাশ, ১১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা সৈয়দ শিব্বির আহমেদকে সভাপতি ও সৈয়দ ইয়াহিয়াকেRead More
আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি শিশু নিহত
আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি শিশু নিহত সংযুক্ত আরব আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে স্কুল পড়ুয়াRead More