Main Menu

বাংলাদেশ-কোরিয়ার নিয়মিত সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহী জিন এয়ার

নিউজ ডেস্ক:
জনপ্রিয় এয়ারলাইন্স-জিন এয়ার এবার বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে নিয়মিত সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ইতিমধ্যে এয়ারলাইন্সটি গত ৩ বছরে ঢাকা এবং ইনচিওনের মধ্যে ১২৬ টি সফল বাণিজ্যিক চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ক্যারিয়ার কোরিয়ান এয়ার গ্রূপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জিন এয়ার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে চলতি বছরের অক্টোবরে অনির্ধারিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন করেছে।

জিন এয়ার কর্তৃপক্ষ মনে করে বাংলাদেশ-কোরিয়া সরাসরি রুটটি প্রচুর সম্ভাবনাময়। তাদের মতে, বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিদেশী বিনিয়োগকারী হিসাবে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এছাড়া কোরিয়ায় বাংলাদেশী কর্মীদের চাহিদা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি দুই দেশের পর্যটক বিনিময় বাড়ছে দিন দিন।

কোভিড -১৯ মহামারিতে বিপর্যস্ত যখন বিশ্ব তখন কোরিয়া ও বাংলাদেশে সরাসরি বাণিজ্যিক চার্টার্ড ফ্লাইট চালু করে জিন এয়ার। এর ফলে, কোভিডে আটকে পড়া কোরিয়ান ও বাংলাদেশী উভয়ের কাছেই আশার আলো হয়ে দাঁড়ায় জিন এয়ার। এরপর জিন এয়ার সফলভাবে মোট ১২৬টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। যাত্রী পরিবহণ করছে ২৭ হাজার ৭ জন, যার মধ্যে প্রবাসী কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার ১১৮ জন।

কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জিন এয়ার কোভিড শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড -বোয়েলসের চাহিদা পূরণ করেছে। এছাড়া বোয়েলস তাদের দেয়া প্রশংসাপত্রে বলেছে, জিন এয়ার থেকে অসামান্য এবং নিরবচ্ছিন্ন চার্টার্ড ফ্লাইট সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশী ইপিএস কর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ করা অসম্ভব। বাংলাদেশী ইপিএস কর্মীদের নিরাপত্তা এবং পেশাদারিত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে জিন এয়ার তার চার্টার্ড বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালিয়েছে মাত্র ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে যেখানে কোন অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করেনি জিন কর্তৃপক্ষ।

জিন এয়ারের নিয়মিত ফ্লাইটের বিষয়ে বর্তমানে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ পর্যালোচনা করছে এবং জিন এয়ারকে সকল প্রাসঙ্গিক অর্থ প্রদানের বাধ্যবাধকতাগুলো ধারাবাহিকভাবে পূরণ করায় সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য অপারেটিং পারমিট প্রদান করেছে। শুধু তাই নয়, একটি বিশেষ চার্টার ফ্লাইট হিসেবে জিন এয়ার নিয়মিত ফ্লাইটের তুলনায় বিমানকে ৫০ শতাংশ বেশি ফি প্রদান করে আসছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত জিন এয়ার থেকে অ্যারোনটিক্যাল চার্জ হিসাবে ২ কোটি ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫১৮ টাকা আয় হয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *