Main Menu

সাতক্ষীরা উপকূলে ৮ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

সাতক্ষীরা উপকূলে ৮ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল ক্রমেই উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের নদ-নদী। প্রবল ঢেউ আছড়ে পড়ছে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধের ওপর। বাড়ছে আতঙ্ক। উপকূল জুড়ে শুরু হয়েছে মাইকিং। ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে জানমালের নিরাপত্তায় স্থানীয় মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

শ্যামনগরের কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া, চুনা, কালিন্দিসহ স্থানীয় নদ-নদী পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে।

গাবুরা ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী বলেন, আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে পাশাপাশি দমকা হাওয়া। বাতাসের গতিবেগ আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীর পানি যেভাবে বাড়তে শুরু হয়েছে বুঝতে পারছি না কী হবে।

পদ্মপুকুরের সালাউদ্দীন জানান, পাতাখালীতে প্রচণ্ড ঢেউ আছড়ে পড়ছে বেড়িবাঁধের ওপর। ইতোমধ্যে বাঁধের নিচের মাটি সরে গেছে। যে কোনো সময় ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নের কয়েকটি জায়গায় নদীর বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকিতে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু বাঁধ ভেঙে গেলে কিছু করার থাকবে না।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলে ৮-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এম সালাউদ্দীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে চার ফুট পানি বেড়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *