Main Menu

কোরবানির দিনগুলোতে তাকবিরে তাশরিক বলতে ভুলে গেলে করণীয়

কোরবানির দিনগুলোতে তাকবিরে তাশরিক বলতে ভুলে গেলে করণীয়
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর নামাজের পর থেকে নিয়ে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত সময়কে আইয়ামে তাশরিক বা তাশরিকের দিন বলে।

 

এই দিনগুলোর প্রতি ফরজ নামাজের পর অন্তত একবার—

الله أكبر الله أكبر، لا إله إلا الله والله أكبر الله أكبر ولله الحمد

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

এই তাকবির পড়া ওয়াজিব। এটিকে তাকবিরে তাশরিক বলা হয়। (হেদায়া : ১/২৭৫)

তাশরিকের দিনগুলোতে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পুরুষদের ওপর উচ্চৈঃস্বরে একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। আর নারীরা নিচু স্বরে পড়বে, যাতে নিজে শোনে। (ফাতাওয়া শামি : ২/১৭৮)

ফরজ নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়া হোক বা একাকী, ওয়াক্তের মধ্যে পড়া হোক বা কাজা, নামাজি ব্যক্তি মুকিম হোক বা মুসাফির, শহরের বাসিন্দা হোক বা গ্রামের— সবার ওপর ফরজ নামাজের পর একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। (দুররে মুখতার : ২/১৮০)

তাকবীরে তাশরিকের দিনগুলোতে ফরজ নামায আদায় করার পর অনেক সময় অনেকে তাকবির বলতে ভুলে যান। পরে কখনো নামাজের ওয়াক্ত থাকতেই স্মরণ হয়। আবার কখনো ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর অন্য নামাজের সময় স্মরণ হয়। তখন সাথে সাথে তাকবির পড়েন।

এ বিষয়ে ফেকাহবিদ আলেমরা বলেন, ফরজ নামাজ আদায় করার পর তাকবিরে তাশরীক বলা ওয়াজিব।

নামাজের পর তাকবিরে তাশরীক না বলে কেউ মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে, অথবা নামাজ নষ্ট করে এমন কোনো কথা বা কাজ করলে, অথবা অজু নষ্ট হয়ে যায় এমন কোনো কাজ করলে তাকবিরে তাশরীক আদায়ের সময় বাকি থাকে না।

তাই এক্ষেত্রে ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার জন্য তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। আর নামাজের পর উপরোল্লিখিত কোনো কাজ না করলে বিলম্বে হলেও তাকবিরে তাশরীক পড়ে নিতে পারবে এবং এর মাধ্যমে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।

(আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৭-১৭৯; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২; আলমাবসূত, সারাখসী ২/৪৫ ফাতহুল কাদীর ২/৫০)






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *