হজের কোনো বিধান আগে-পরে হয়ে গেলে করণীয়

হজের কোনো বিধান আগে-পরে হয়ে গেলে করণীয়
প্রতি বছর বিশ্বের কয়েক লাখ মানুষ একসঙ্গে ফরজ হজ পালন করেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘…এবং আল্লাহর ঘরের দিকে পথ ধরতে যে সক্ষম তার জন্য ওই ঘরের হজ করা অবশ্য কর্তব্য…।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭)
আল্লাহ আরও বলেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ ও ওমরা পূর্ণ করো…।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৯৬)
হজ্জে মাবরুর বা কবুল হজের বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে গুনাহ থেকে মুক্তি এবং জান্নাত লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন।
এক হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরা করো, কেননা এ দুটি দারিদ্র্য ও গুনাহ এমনভাবে দূর করে, যেভাবে হাঁপর লোহা, স্বর্ণ ও রৌপ্যের ময়লা দূর করে। আর হজে মাবরুর (মকবুল হজ)-এর বিনিময় জান্নাত ব্যতীত কিছুই নয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৮৭)
হজ পালনের জন্য ৮ জিলহজ থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ পর্যন্ত বেশ কিছু আমল করতে হয়, যার কিছু সুন্নত, কিছু ওয়াজিব এবং কিছু ফরজ।
ফরজ এবং ওয়াজিব আমলগুলো ধারাবাহিকভাবে পালন করা জরুরি। কেউ হজ পালন করতে গিয়ে যদি হজের কোনো বিধান ধারাবাহিকভাবে পালন করতে না পারে কোনো বিধান আগ-পিছু হয়ে যায়, তাহলে তার ওপর দম আবশ্যক হয়ে যায়।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: مَنْ قَدَّمَ شَيْئًا مِنْ حَجِّهِ أَوْ أَخَّرَهُ، فَلْيُهْرِقْ لِذَلِكَ دَمًا
ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি তার হজের কোনো বিধানকে আগ পিছ করে তাহলে সে যেন একটি দম দিয়ে দেয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস : ১৪৯৫৮)
আর দম বলা হয়, হজ-ওমরা আদায়ে কোনো ওয়াজিব ছুটে যাওয়া জনিত ভুল-ত্রুটি হলে তার কাফ্ফারা হিসেবে একটি পশু জবেহ করে গরীব-মিসকীনদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া। এই পশু জবেহকে বলে দম দেওয়া।
বাদায়েউস সানায়ে ২/১৫৮
Related News

মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More

যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More