Main Menu

ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার

ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার

পিরোজপুরের কাউখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় তিনটি বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে প্রতিদিন এলাকাবাসী নরবড়ে সাঁকো পার হয়ে চলাচল করে আসছে। উপজেলার আমরাজুরী গ্রামের খালের ওপর কাঠের সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সাঁকোটি সংস্কারে নেই কোনো উদ্যোগ।

দীর্ঘদিন ধরে সাঁকোটি সংস্কার না করায় দিন দিন কাঠ ও সুপারিগাছের গুঁড়ি ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে সাঁকোটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জব্দকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দত্তেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে যাওয়া-আসা করে।

এলাকাবাসীও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পেরিয়ে চলাচল করে। তারা সাঁকোটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানায়।

স্থানীয় দত্তেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার জানায়, ‘আমি একা ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পার হতে ভয় পাই। তাই বাবা-মা আমাকে বিদ্যালয় দিয়ে আসেন।

জব্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সিকদার বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন এই বিদ্যালয়ে আছি। সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হচ্ছে। অনেক সময় ছাত্রছাত্রীদের সাঁকো পারাপারে সহযোগিতা করতে হয়।’

গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গায়ত্রী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘জোয়ারের সময় খালে পানি বেশি হলে ছাত্রছাত্রী নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি।

তখন সাঁকো পারাপার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। এখানে একটি পাকা সেতু অতি জরুরি।

অভিভাবক অনিল হালদার ও আব্দুল জব্বার জানান, তাঁদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় লাগছে। কাউখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের সামনের সাঁকোগুলো সংস্কার করা দরকার।

আমরাজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণে চেষ্টা করব।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *