Main Menu

ক্ষুধা নিয়ে নামাজ পড়া যাবে?

ধর্ম ডেস্ক:
ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ নামাজ। প্রতিদিন ঠিকমতো আদায়ের প্রতি সবসময় রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। নামাজ আদায়ে অবহেলাকারীদের সর্তক করতে বিভিন্ন সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুঁশিয়ার বাণী উচ্চারণ করেছেন।

এক হাদিসে রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমার প্রাণ যার হাতে, তার কসম করে বলছি! অবশ্যই আমি সংকল্প করেছি, আমি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেব, তারপর আমি নামাজের হুকুম দেব এবং এ জন্য আজান দেওয়া হবে, তারপর আমি এক ব্যক্তিকে হুকুম করব সে লোকদের নামাজ পড়াবে। এরপর আমি ওই লোকদের দিকে যাব, যারা জামাতে হাজির হয়নি। এবং তাদের বাড়িঘর তাদের সামনেই জ্বালিয়ে দেব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস, ২৪২০)

আল্লাহর রাসূল উম্মতকে শুধু শাস্তির কথাই বলেননি, অনেক সময় নামাজে আগ্রহী করতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছেন। জানিয়েছেন নামাজ কীভাবে মানুষের গুনাহ ক্ষমা করে। হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন-

(তোমাদের কী মনে হয়?) কারো বাড়ির পাশে যদি নদী থাকে আর সে তাতে প্রতিদিন পাঁচ বার গোসল করে, তার শরীরে কি কোনো ময়লা থাকবে? সাহাবায়ে কেরাম উত্তরে বললেন, না, তার শরীরে কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না। নবীজী তখন বললেন- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্তও এমন। এর মাধ্যমে আল্লাহ (বান্দার) পাপসমূহ মুছে দেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬৬৭; সহীহ বুখারী, হাদীস ৫২৮)

নামাজে মনোযোগী হওয়ার জন্য পার্থিব সব ঝামেলামুক্ত হওয়া জরুরি। এমন কোনো পরিস্থিতি বা অবস্থায় নামাজ শুরু করা উচিত নয়, যার কারণে নামাজের প্রতি মনোযোগিতায় ব্যাঘাত ঘটে। যেমন ক্ষুধা নিয়ে নামাজ পড়া উচিত নয়। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষুধা নিয়ে নামাজ পড়া মাকরূহ। হাদিসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

لا يُصلَّى بحَضْرِةِ الطَّعام ولا وهو يُدافِعُهُ الأخبَثان

‘খাবার এসে গেলে (তা না খেয়ে) এবং পায়খানা-পেশাবের বেগ হলে তা চেপে রেখে কেউ যেন সালাত আদায় না করে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস, ৮৯)

এজন্য কখনো খাবারের চাহিদা বা ক্ষুধা থাকলে নামাজের আগে খেয়ে নেওয়া উচিত।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *