Main Menu

একা ঘরে ঘুমানো নিয়ে যা বলেছেন মহানবী সা.

ধর্ম ডেস্ক:
সুস্থ-স্বাভাবিক থাকার জন্য একজন মানুষের ঘুম জরুরি। ক্লান্তি শেষে ঘুম মানুষের শরীরে সতেজতা নিয়ে আসে। নতুন উদ্যোমে কাজ শুরুর জন্য নিয়মিত ঘুমানো জরুরি। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর তিনি রাতকে মানুষের প্রশান্তির উপায় হিসেবে সৃষ্টি করেছেন’। (সূরা আনআম, আয়াত, ৯৬)

আরেক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে আবরণ ও নিদ্রাকে আরামপ্রদ করেছেন এবং দিনকে করেছেন জাগ্রত থাকার সময়।’ ( সূরা আল-ফুরকান, (২৫), আয়াত, ৪৭)

ঘুমের সময় নিরাপদ থাকার জন্য ঘুমের দোয়া, আয়াতুল কুরসি ও তিন কুল পড়া উচিত। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ঘুমাতে যাওয়ার সময় দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়ে তাতে ফুঁ দেবে। তারপর দুই হাতের তালুর মাধ্যমে দেহের যতোটা অংশ সম্ভব— মাসেহ করবে। মাসেহ শুরু করবে— মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে (এভাবে ৩ বার করবে)। (বুখারি, হাদিস, ৫০১৭)

এক হাদিসে নবীজি হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, শয়তান সারারাত তার কাছে আসবে না।’ (বুখারি, হাদিস, ২৩১১)

শোয়ার সময় বিশেষ সতর্কতা হিসেবে একা ঘরে থাকতে নিষেধ করেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো ঘরে একাকী রাত যাপন ও একাকী সফর নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস, ৫৬৫০)

একইভাবে খোলা ছাদের নিচে ঘুমাতেও নিষেধ করেছেন আল্লাহর রাসূল। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি বেষ্টনীবিহীন ছাদে রাতে ঘুমাল, (কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে) তার সম্পর্কে (আল্লাহর) কোনো জিম্মাদারি নেই।’ (আবু দাউদ, হাদিস, ৫০৪১)






Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *