Main Menu

হাতের ইশারায় সালাম দেওয়া যাবে?

ধর্ম ডেস্ক:
সালাম ইসলামি চেতনার আদর্শিক প্রকাশ। ইসলামে সালামের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। সালাম দেওয়া-নেওয়া জান্নাতি মানুষের অভ্যাস। সালাম দিতে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা আমাদের শিখিয়েছেন। রাসুল (সা.)-কে মিরাজের রাতে তিনি সালাম দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’। সালামের প্রচলন ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাজ বলেছেন প্রিয় নবী (সা.)। মুসলিমরা জান্নাতে যাওয়ার সময় ফেরেশতারা বলবে, ‘তোমাদের প্রতি সালাম’, তোমরা সুখী হও।’ (সুরা জুমার, আয়াত, ৭৩)

জান্নাতেও সালামের প্রচলন থাকবে। এক জান্নাতি অপর জান্নাতিকে সালাম দেবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সেখানে তাদের অভিবাদন হবে সালাম।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত, ১০)

সালাম দেয়া সুন্নাত, তবে এর উত্তর দেয়া ওয়াজিব। অনেক সময় অনেকে মুখে সালাম না দিয়ে ইশারায় সালাম দেন, কেউ কেউ আবার ইশারাতেই উত্তর দিয়ে থাকেন। সালাম দেওয়া বা নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি সঠিক কোনো পদ্ধতি নয়। কারণ, সালাম শুনিয়ে দেওয়ার নিয়ম এবং সালামদাতাকে জওয়াব শুনিয়ে দেওয়া ওয়াজিব।

তবে কেউ যদি দূর থেকে কাউকে সালাম দেয়, কিন্তু দূরে থাকার কারণে তিনি সালাম শুনতে না পান তাহলে মুখে উচ্চারণের পাশাপাশি হাতের ইশারায় বুঝিয়ে দেওয়া যাবে যে, আমি আপনাকে সালাম দিয়েছি। এইভাবে কেউ সালাম দিলে মৌখিকভাবে উত্তর না দিয়ে শুধু মাথা বা হাতের ইশারায় সালামের উত্তর আদায় হয় না।

বিজ্ঞাপন

তবে যদি সালামদাতা বধির হয় অথবা দূরে থাকে যেখানে আওয়াজ পৌঁছবে না, তাহলে মৌখিক জবাবের পাশাপাশি ইশারাও করবে। যেন সালামদাতা বুঝতে পারে, তার সালামের জওয়াব দেওয়া হয়েছে। -(সূরা নিসা : ৮৬; সহীহ বুখারী ২/৯২৪; জামে তিরমিজি, ২/৯৯)






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *