Main Menu

মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করবেন যে কারণে

ধর্ম ডেস্ক:
জীবনের এতো রঙিন স্বপ্ন, হাসি-খুশি, রঙ-তামাশা সবকিছুর শেষে মৃত্যুই সত্য। পবিত্র কোরআনেআল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং কিয়ামতের দিন তোমরা পূর্ণ বদলাপ্রাপ্ত হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে সফলকাম হবে। আর পার্থিব জীবন প্রতারণার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়। ’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত, ১৮৫)

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর কথা স্মরণকারীকে বৃদ্ধিমান বলে অভিহিত করেছেন। এক হাদিসে এসেছে, জনৈক সাহাবি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! দুনিয়াতে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তি কারা? তিনি জবাব দিলেন, যারা মৃত্যুর কথা অধিক পরিমাণে স্মরণ করে এবং এজন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। দুনিয়া-আখেরাতে তারাই সম্মান ও মর্যাদার মুকুট পরিহিত হবে। (মুজামুল কাবির, ১৩৫৩৬)

হাদিসে মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণের কথা বলা হয়েছে। এতে অনেক উপকার রয়েছে। প্রথমত, তা পাপ থেকে মানুষকে বিরত রাখে। দ্বিতীয়ত, বান্দা যখনই মৃত্যুর কথা স্মরণ করবে, তখন পরকালের পাথেয় সংগ্রহে তৎপর হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি- যে নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য কাজ করে। আর নির্বোধ ও অকর্মণ্য সেই ব্যক্তি- যে তার নফসের দাবির অনুসরণ করে এবং আল্লাহর কাছে বৃথা আশা করে। (ইবনে মাজাহ, ৪২৬০)

আলেমরা বলেন, দুনিয়ায় মানুষের যত কর্ম, সবই কেয়ামতের দিন প্রকাশিত হবে। কোনো কিছুই সেদিন আর গোপন থাকবে না। তাই মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করা উচিত। মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুমিনদের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে বলেছেন এবং তাতে এক কিরাত তথা ওহুদ পাহাড়ের সমপরিমাণ নেকি ও দাফন শেষ করে ফিরে এলে তাতে দুই কিরাত সমপরিমাণ নেকির কথা বলেছেন। (মুসলিম, হাদিস, ৯৪৫)






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *