Main Menu

সৌদিতে নির্যাতনের শিকার কিশোরীর ফেরার আকুতি

নিউজ ডেস্ক:
সৌদি আরবে কিশোরী এক গৃহকর্মীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে। দ্রুত উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে পরিবারের কাছে ফোনে ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছে সে। বার্তা পাওয়ার পর রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ পরিবারের। এখন তারা মেয়েকে ফিরে পেতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে পরিবারের কাছে পাঠানো ভিডিওবার্তায় হ্যাপি আক্তার নামে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী বলে, আমি মারধর ও নির্যাতন সহ্য করতে পারছি না, আমাকে খাবার খেতে দেয় না। ফোনও নিয়ে গেছে। আমাকে উদ্ধার করো, দেশে আনার ব্যবস্থা করো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পৌর এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীর স্থায়ী বাড়ি চুনারুঘাটে। তাকে গত বছর গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে সৌদিতে পাঠায় ঢাকার ফকিরাপুলের গোল্ডেন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি রিক্রুটিং এজেন্সি। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার (৮মার্চ) কিশোরীর পরিবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য লিখিত আবেদন করেছে।
ওই আবেদন ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কিশোরী হ্যাপি কয়েকদিন আগে সৌদি থেকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সে জানায়, তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ ফোনে তার পরিবারে অশান্তি নেমে আসে। পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করে দালাল ও এজেন্সির সঙ্গে। এজেন্সির লোকজন তাকে ফিরিয়ে আনতে ৩ লাখ টাকা দাবি করছে।
হ্যাপির স্বামী মীর সোহাগ বলেন, এরা আমার নববিবাহিত স্ত্রীকে আটকে রেখে খুব কষ্ট দিচ্ছে। খাবার দেয় না। খুব মারধর করছে। ফোনও কেড়ে নিয়ে গেছে। সর্বশেষ উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে একটি ভিডিও পাঠিয়েছিল। এখন তার জীবন ঝুঁকিতে। যে কাজের কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই কাজ না দিয়ে অন্য কাজে তাকে জড়িত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গোল্ডেন এয়ার ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা আকতার হোসেন বলেন, মেয়েটির স্বামী আমাদের কাছে এসেছিল। তবে মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *