Main Menu

তুরস্ক-ইতালি রুটে অভিবাসীপ্রত্যাশী বেড়ে দ্বিগুণ

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
তুরস্ক-ইতালি সমুদ্র পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। তুরস্কের দাবি, গ্রিসের কট্টরপন্থি সরকার অভিবাসনপ্রত্যশীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে বলেই এমন ঘটনা ঘটছে।

এজিয়ান সাগরে গ্রিস অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেছে তুরস্ক। তারা বলছে, দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দক্ষিণ ইতালিতেও যেতে বাধ্য করছে গ্রিস। ইউরোপ যেতে মানবপাচারকারীদের হাতে হাজার হাজার ইউরো দেয়ার পর ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় খুব বেশি খাবার-দাবার কেনার সামর্থ্যও থাকে না অভিবাসনপ্রত্যাশীদের।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, গেল এক সপ্তাহে সমুদ্র পথে তুরস্ক থেকে ইতালির ক্যালাব্রিয়ায় পৌঁছেছে ৬৯৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী। ২০২২ সালে সমুদ্র পথে ইতালি আসে এক লাখ পাঁচ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী। তাদের মধ্যে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ আসেন তুরস্ক-ইতালি রুট দিয়ে যা ২০২১ সালের তুলনায় দ্বিগুণ বলছে সংস্থাটি।

২০১৯ সালে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রক্ষণশীল কিরিয়াকোস মিতসোটাকিসের জয়ের পর দেশটির সীমান্ত থেকে অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। আর সেদিকেই ইঙ্গিত করছে তুরস্ক। তাদের দাবি, তুরস্কের উপকূল থেকে গ্রিসে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রত্যাখ্যান করা হলে তারা ইতালির দিকে যেতে থাকে।

অভিবাসীদের নৌকা নিয়ে গ্রিসের দ্বীপগুলোতে পৌঁছানো দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে তারা দক্ষিণ ইতালির দিকে যাত্রা শুরু করে। এথেন্সের অভিবাসন নীতির কট্টর সমালোচক আঙ্কারা জানিয়েছে, ২০২২ সালে ১৮ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফিরিয়ে দিয়েছে গ্রিস।

অভিবাসীদের অধিকাংশ সিরিয়া ও আফগানিস্তানের

তুরস্ক উপকূল হয়ে অনেকে ইউরোপে আশ্রয় নেয়ার পরেও দেশটিতে শুধু সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা এখনও ৩৫ লাখের বেশি। এর পরেই আসে আফগানিস্তানের নাম। ২০২১ সালে দেশটিতে তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসেন।

এর পরে আছে ইয়েমেন, প্যালেস্টাইন এবং কঙ্গো, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া ও ইরিত্রিয়াসহ আফ্রিকান বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরাও। ভাগ্য বদলের আশায় যে কোনো মূল্যে ইউরোপে পৌঁছাতে চান তারা। আর সেই চেষ্টায় তুরস্ককে সেতু হিসাবে নিয়েছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম-এর একজন প্রতিনিধি বলেন, ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্নে প্রতিদিন শত শত মানুষ তুরস্কের উপকূল ভিড় করে। কিন্তু ২০১৫ সালে সিরিয়া যুদ্ধের কারণে এ সংখ্যাটি ছিল হাজার হাজার।”

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে যারা সমুদ্র পথে ইতালি পৌঁছেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতালি পর্যন্ত পৌঁছাতে একজন প্রাপ্ত বয়স্ককে গুণতে হয় প্রায় আট হাজার ৫০০ ইউরো, আর অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দিতে হয় চার হাজার ইউরো। তবে গ্রিসে পৌঁছাতে পারলে এত খরচের প্রয়োজন নেই বলেও জানান তারা।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *