Main Menu

ভূমিকম্পে মরদেহ উদ্ধারের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়াল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মরদেহ উদ্ধারের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। গত সোমবারের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনের নিচে আটকে পড়া শত শত মানুষকে উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

দেশ দুটির উদ্ধারকারীরা বলেছেন, তীব্র ঠান্ডা এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে লোকজনকে জীবিত উদ্ধারের সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লোকজনকে উদ্ধারে সময়ের বিপরীতে লড়াই করতে হচ্ছে তাদের।

সরকারি হিসেবে এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে তুরস্কে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪ হাজার ১৪ জন মানুষ। আর সিরিয়ায় কমপক্ষে ৩ হাজার ১৬২ জন। কিন্তু বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা কয়েকগুন বেশি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখনও ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে বের করে আনা হচ্ছে জীবিতদের।

ঘটনার চারদিন পেরিয়ে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। সময় যত গড়াচ্ছে, এই সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে আরও ক্ষীণ হচ্ছে।

নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা তবু আশায় বুক বেঁধে আছেন। হয়তো, অলৌকিকভাবে জীবিত বের করে আনা হবে তাদের প্রিয়জনকে।

এদিকে ভূ-বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূমিকম্পের ফলে আনাতোলিয় এবং আরবীয় টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে ২২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যুতিরেখা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে তুরস্ক তার আগের ভৌগোলিক অবস্থান থেকে ১০ ফুট দূরে সরে গিয়েছে।

ইতালির ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কার্লো ডগলিয়োনি বলেছেন, টেকটোনিক প্লেটগুলির সঞ্চালনের কারণে তুরস্ক প্রায় ২০ ফুট পশ্চিমে সরে গেছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, দ্রুতই মানুষকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের আশা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাজিয়ানতেপ সফরে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান বলেছেন, তার দেশে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৪,০১৪। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৩ হাজার মানুষ।

ধ্বংস হয়ে গেছে কমপক্ষে ৬ হাজার ৪০০ ভবন। তিনি এক বছরের মধ্যে ওই অঞ্চলে তিন এবং চারতলা ভবন নির্মাণের লক্ষ্য আছে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

গত সোমবার ভোররাতে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর আরও কয়েকটি ভূমিকম্প ও ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন হয়। এতে দুই দেশের অন্তত ১৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর তিন দিন কেটে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো যারা আটকে আছেন তাদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে এসেছে।

যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ স্টেভেন গোডবে বলেছেন, ‘দুর্যোগের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে ৭৪ শতাংশ। ৭২ ঘণ্টা (তিন দিন) পর এটি নেমে আসে ২২ শতাংশে। আর পঞ্চম দিনে কোনো আহত বা ক্ষতিগ্রস্তের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৬ শতাংশে চলে আসে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *