Main Menu

দ্বীপ কর্সে জাল নথি তৈরিতে জড়িত চক্র ভেঙে ফেলার দাবি ফরাসি পুলিশের

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
সেনেগাল, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল এবং বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষের যৌথ আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় ভূমধ্যসাগরের ফরাসি অঞ্চল কর্স বা কর্সিকা দ্বীপে একটি অনিয়মিত অভিবাসন নেটওয়ার্ক ও ভুয়া নথি বিক্রির চক্র ভেঙে দেওয়ার দাবি করেছে ফরাসি সীমান্ত পুলিশ (পিএএফ)।

ফরাসি সীমান্ত পুলিশ (পিএএফ) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তিনজন পুরুষ ও একজন নারীকে দ্বীপের আজাক্সিও ও বোরগো অঞ্চল থেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে থাকা নগদ ২০ হাজার ইউরো বা ২০ লাখ টাকা এবং কয়েকটি ব্যাংক একাউন্ট থেকে ১৮ হাজার ইউরো বা ১৮ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

মূলত এসব গ্রেপ্তার অভিযানের প্রায় এক বছর আগে থেকেই একটি মানবপাচার ও জাল নথি তৈরিতে জড়িত চক্র নিয়ে দীর্ঘ তদন্ত পরিচালনা করছিল ফরাসি সীমান্ত পুলিশ। তদন্তের এক বছর পর একজন প্রধান হোতাকে সনাক্ত ও আটক করতে সম্ভব হয় পুলিশ।

এই নেটওয়ার্কটি তুরস্কের আইপি ব্যবহার করে বেলজিয়াম, পর্তুগাল, ইতালি ও স্পেনের জাল জাতীয় পরিচয়পত্র ও সোশ্যাল সিকিউরিটি বা স্বাস্থ্য সুবিধার কার্ড বিক্রি করত।

এছাড়া তারা শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলো থেকে চুরি করা বিভিন্ন পাসপোর্টকে জাল করে পুনঃবিক্রয়ে জড়িত ছিল।

ফরাসি সীমান্ত পুলিশ পিএএফ আরও জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া নথিগুলোর নকলের গুণমান এবং নথির প্রকারের উপর নির্ভর করে এগুলো প্রতি নথি ২৫০ থেকে এক হাজার ইউরোর মধ্যে বিক্রি হয়েছে।”

উল্লেখ্য, কর্স বা কর্সিকা ভূমধ্যসাগরের একটি দ্বীপ এবং ফ্রান্সের শাসনাধীন একটি রেজিওঁ বা অঞ্চল। এটি আয়তনের দিক দিয়ে ভূমধ্যসাগরের চতুর্থ বড় দ্বীপ।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং ডিসেম্বর মাসে দ্বীপে পরপর বেশ কয়েকটি মানবপাচার, শ্রম শোষণ ও জাল নথি বিরোধী গ্রেপ্তার অভিযানে পরিচালনা করেছিল ফরাসি প্রশাসন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *