দেশের অন্যতম ছোট মসজিদ সিলেটের রাজনগরে!
বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও কাজী খন্দকার মাজার এলাকায় দেখা মিলল দেশের অন্যতম এক ছোট মসজিদের। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৬ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট। ওই মসজিদে এক সঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন ইমামসহ পাঁচজন। স্থানীয়দের ধারণা, মসজিদটির বয়স ২০০ থেকে ৩০০ বছর হবে। যা কালে কালে সংস্কার করা হয়েছে।
এলাকার প্রবীণরা জানিয়েছেন, ৩০০ বছর আগে ওই এলাকার মাটির নিচে কিছু ইট পাওয়া গিয়েছিল। ইটের পাশেই ছোট এই মসজিদটির অবস্থান ছিল। টিলার উপরে মসজিদের অবস্থান থাকায় প্রথম দেখায় বোঝার উপায় নেই এটি মসজিদ। তবে উপরিভাগের ছোট বড় গম্বুজ জানান দিচ্ছে এটি আসলে একটি মসজিদ। চুন, সুরকি ও ইট দিয়ে তৈরি এই মসজিদটির চার কোণায় থাকা চারটি কারুকার্য নান্দনিক পিলার আকৃষ্ট করছে দর্শনার্থীদের।
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও কাজী খন্দকার মাজারের পাশে অবস্থিত কালের সাক্ষী প্রাচীন ও ইসলামিক ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শন এ মসজিদ। এলাকায় গায়বি মসজিদ নামে পরিচিত।
তবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকায় নেই মসজিদটি। এলাকার অনেকেই বলেন, পূর্বপুরুষরা বলে গেছেন গভীর অরণ্য ছিল এলাকায়। জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির সাথে সাথে বনজঙ্গল আবাদের সময় মাটির নিচে এই মসজিদ পাওয়া যায়। তবে কে কখন এটি নির্মাণ করেছেন তার সঠিক কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে-এটা দেশের অন্যতম সবচেয়ে ছোট মসজিদ এটি।
জেলার রাজনগর উপজেলার রাজনগর-ফেঞ্চুগঞ্জ-সিলেট সড়কের মুন্সিবাজারের আগে কাজী খন্দকার মাজারের পাশেই অবস্থান মসজিদটির। চুন, সুরকি ও ইটের তৈরি এক গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদের ভেতরে রয়েছে একটি মাত্র কক্ষ। এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন ইমামসহ পাঁচজন। ভেতরে জায়গা রয়েছে মাত্র ছয় ফুট। তবে এখন আর নামাজ আদায় করা হয় না এই মসজিদে।
কথা হয় ব্রাহ্মণগাঁওয়ের প্রবীণ শিক্ষক আব্দুল মতিন আকন্দ (৭০) এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই মসজিদের ভেতরে ইমামসহ পাঁচজন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন। পরে হয়তো লোকজন বেশি হওয়ায় পাশে আরেকটি মসজিদ তৈরি করেন এলাকাবাসী।’
কাজী খন্দকার মাজারের খাদিম আছকির মিয়া (৬৭) বলেন, ‘আমাদের দাদাও তার আগের পুরুষরাও বলতে পারেননি আসলে কবে এই মসজিদ নির্মাণ হয়েছে। দাদার কাছে জেনেছি, তিনিও নাকি শুনেছেন ২০০ বছরের পুরোনো হবে। মসজিদটি দেখার জন্য অনেক সময় লোকজন আসেন।’
মাজার কমিটির সেক্রেটারি আহমদ আলী বলেন, ধারণা করা হয় গৌড় জনপদের মধ্যযুগের স্থাপনা এই মসজিদ। তখন এই অঞ্চলে মুসলিমদের সংখ্যা কম ছিল।
মাজার কমিটির সভাপতি মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া বলেন, আমি মসজিদটি সংরক্ষণের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করবো। দাদা ও পিতামহের কাছ থেকে জানামতে, এখানে পাহাড় টিলা ও গভীর জঙ্গল ছিল। মাটির নিচে মসজিদ পাওয়া গিয়েছিল এর সাথে প্রচুর ইট ছিল।
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More