Main Menu

সিরীয় শরণার্থী মৃত্যু, হাঙ্গেরিকে ৪০ হাজার ইউরো জরিমানা ইইউ আদালতের

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
সিরীয় শরণার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় হাঙ্গেরিকে প্রায় ৪০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত (ইসিএইচআর)৷ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আদালত হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে এই রায় দেয়।

আদালতে মামলাটি দায়ের করেন এক সিরীয় ব্যক্তি৷ তিনি তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য হাঙ্গেরির সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দায়ী করেছেন। ইসিএইচআর রায়ে বলেছে, হাঙ্গেরি ওই মৃত্যুর তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং ওই সিরীয় শরণার্থীর প্রাণহানি ঘটেছে।

রায়ে আদালত ওই সিরীয় ব্যক্তির বক্তব্যের সঙ্গে আংশিক সম্মত হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ জরিমানার মধ্যে রয়েছে ৩৪ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ এবং পাঁচ হাজার ৬০০ ইউরো আইনি খরচ।

যা ঘটেছিল?

২০১৬ সালে নৌকায় তিসজা নদী পার হয়ে সার্বিয়া থেকে হাঙ্গেরিতে আসতে চেয়েছিলেন নিজের ভাই এবং অন্যান্য শরণার্থীরা। তিন শিশুসন্তানসহ অপর একটি পরিবারও তাদের সঙ্গে ছিল৷ মানবপাচারকারীরা তাদের নদী পেরোতে সাহায্য করে৷

বাদীর যুক্তি, হাঙ্গেরির সীমান্তরক্ষীরা তাদের সার্বিয়ায় ফিরে যেতে বলেছিল। রক্ষীরা কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে এবং শরণার্থীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে৷

সিরীয় ওই ব্যক্তি বলেছিলেন, হাঙ্গেরির সীমান্তরক্ষীরা পাথর ছুড়তে শুরু করার আগে এবং সার্বিয়ায় ফিরে যাওয়ার জন্য চিৎকার করার আগেই শরণার্থীরা জলের মধ্যে নেমে পড়েছিলেন। শুধু ইরাকি পরিবারের শিশুগুলিকে অফিসারদের কাছে হস্তান্তর করার চেষ্টা করেছিলেন তারা৷ তখন কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পাশাপাশি তাদের দিকে কুকুর ছেড়ে দেয় পুলিশ।

তার ভাই সার্বিয়ার তীরে ফিরে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে যায়৷ তার অভিযোগ, হাঙ্গেরি এই দায় স্বীকার করেনি৷

ভুক্তভোগীরা জানায়, পুরো দলটি সাঁতার কেটে সার্বিয়ার দিকে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কারণ পাচারকারীদের নৌকাটি তাদের নামিয়ে দিয়েই ফিরে গিয়েছিল৷ আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, আবেদনকারী লক্ষ্য করেন, তার ভাইয়ের কোথাও একটা অসুবিধা হচ্ছে কারণ তিনি পাথরে আঘাত পান এবং কাঁদানে গ্যাসের কারণে তার কাশিও হচ্ছিল৷

তার ভাই নদীর ওপারে পৌঁছাতে পারেননি। দুদিন পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায়৷ সবমিলিয়ে পুরো ঘটনা নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে৷

উল্লেখ্য, ফ্রান্সের স্ট্রসবুর্গ শহরে অবস্থিত ইসিএইচআর হলো ইউরোপীয় কাউন্সিলের অংশ৷ এটি স্বাধীনভাবে মানুষের সুরক্ষার জন্য কাজ করে। ৪৬টি সদস্য রাষ্ট্রের মানবাধিকারের দিকগুলো খতিয়ে দেখে এই আদালত।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *