অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় স্পেন-মরক্কো চুক্তি স্বাক্ষর

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
অভিবাসন ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে ও বিনিয়োগ বাড়াতে আলাদা চুক্তি সই করেছে স্পেনের সঙ্গে চুক্তি করেছে মরক্কো। বৃহস্পতিবার মরক্কোর রাজধানী রাবাতে পশ্চিম সাহারার সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
সহিংস সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পশ্চিমা শক্তির মিত্র হিসেবে মরক্কো পরিচিত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নেও সহায়ক এই দেশটি৷ ফলে রাবাতে সই হওয়া এই চুক্তিকে পারস্পরিক বিশ্বাস নির্মাণের একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ৷
জানা গেছে, অভিবাসন নিয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের পাশাপাশি বিনিয়োগ চুক্তি অনুযায়ী মরক্কোতে ৮৭৩ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করবে স্প্যানিশ সংস্থাগুলো৷ শিক্ষা ও কর্ম প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত চুক্তিতেও সই করেছেন তারা৷
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে স্পেনের অন্তত ১১ মন্ত্রী এবং মরোক্কোর ১৩ মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন৷ উত্তর আফ্রিকায় স্পেনের ছিটমহল সেউটা এবং মেলিলায় সীমান্ত পারাপারে শুল্ক অফিস খোলার বিষয়েও সম্মত হয়েছে দেশ দুটি৷
যদিও ছিটমহল দুটিকে ইউরোপীয় অঞ্চল হিসাবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ মরোক্কো। তবে শুল্ক অফিস কবে খোলা হবে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করা হয়নি৷ তবে এর মধ্য দিয়ে সীমান্তের দুই পাশের স্থানীয় অর্থনীতি গতিশীল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে৷
প্রায় বছরখানেক আগে ২৩ আফ্রিকান পুরুষের মৃত্যুর জের ধরে স্পেন এবং মরক্কোর সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে দুই দেশের পুলিশ৷ সীমান্তে নিহতদের সবাই সুদানের শরণার্থী ছিল বলে জানা গেছে৷
অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কয়েক মিলিয়ন ইউরো পেয়েছে মরক্কো৷ মরক্কো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢুকেছে স্পেনে৷ ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬৪ হাজার৷ তবে মরক্কোকে অনুদান দেয়ার পর ইউরোপে অবৈধ অনুপ্রবেশ কমে হয়েছ ৩১ হাজার৷ এজন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইউরোপের কর্মকর্তারা৷
মরক্কোর প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখানউচ অবশ্য চুক্তিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছেন, এই চুক্তিকে ’সম্পর্কের নতুন গতিশীলতা’ নিশ্চিত করবে। এমনকি পশ্চিম সাহারার প্রস্তাবে সমর্থন দেয়ায় স্পেনকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের এই চুক্তির পর সব উত্তেজনা প্রশমনের স্বপ্ন দেখছে দেশ দুটি৷ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেন, ” পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য স্পেন এবং মরক্কোর মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করছি৷’’
কাস্টিলা-লা মাঞ্চা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি এবং ইসলামিক শিক্ষার অধ্যাপক মিগেল আর্নান্দো দে লাররামেন্দি বিশ্বাস করেন, পশ্চিম সাহারা প্রশ্নে মরক্কোর দিকে ঝুঁকেছে স্পেন সরকার৷ তিনি বলেন, ’চরমপন্থা এবং অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মরক্কোর সঙ্গে সম্পর্ক থাকাটা জরুরি৷‘
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী সানচেজ এএফপিকে বলেন, ‘’আমরা মরক্কো এবং স্পেনের মধ্যে সম্পর্কের একটি নতুন পর্যায়কে একীভূত করছি৷” দুটি দেশের মধ্যে অনেক অনাবিষ্কৃত সম্ভাবনা রয়েছে।
Related News

বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে মার্কিন সরকারেরRead More

অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড
নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল সিডনির একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ৭ তলা ভবনেরRead More